আমি ঠিক হয়ে যাব কিন্তু বাংলার কী হবে, প্রশ্ন উদ্বিগ্ন জয়প্রকাশ মজুমদারের

উপনির্বাচনে জয়প্রকাশ মজুমদারের শারীরিক নিগ্রহের খবর উঠে এসেছে। করিমপুরের প্রার্থী হওয়া সত্ত্বেও জঘন্য এই ঘটনাকে নিয়ে রাজ্য থেকে জাতীয়স্তরে বিতর্কের ঝড় বয়ে যাচ্ছে সাধারণ মানুষ থেকে রাজনৈতিক মনস্কদের মধ্যে। তবে নিজেকে নিয়ে উদ্বীগ্ন নন জয়প্রকাশ মজুমদার বরং পশ্চিমবঙ্গের চিন্তায় তাঁর কপালে ভাঁজ পড়েছে।

সোমবার সকাল সাড়ে দশটা নাগাদ করিমপুর কেন্দ্রের পিপুলখোলাতে বিজেপি প্রার্থী জয়প্রকাশ মজুমদারকে ভোটকেন্দ্রের সামনেই শারীরিক নিগ্রহ করা হয়।

সকাল থেকেই বুথ কেন্দ্রে ঢুকতে গিয়ে বারবার বাধা পেয়েছিলেন করিমপুরের বিজেপি প্রার্থী।

জয়প্রকাশ মজুমদার পড়ে গেলে, তাঁর পিছনে লাথি মারে, লুঙ্গি পড়া এক ব্যক্তি-তাঁকে ঝোপে ফেলে দেয়। হামলাকারীদের ধাওয়া করেন প্রার্থীর নিরাপত্তারক্ষীরা, তবে ধরতে পারেননি। আক্রান্ত প্রার্থী বলেন, “দু’একদিনের মধ্যে আমার ক্ষত সেরে যাবে, তবে বাংলার গণতন্ত্রের ধ্বংসের কী হবে”?

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং করিমপুরের আগের বিধায়ক তথা তৃণমূল নেত্রী মহুয়া মৈত্রের প্রসঙ্গ টেনে জয়প্রকাশ মজুমদার বলেন, “তাঁরা হারের ভয় পাচ্ছেন, সেই কারণেই গণতন্ত্রের ওপর এই আক্রমণ। তবে তাঁরা জিতবেন না”।

ঘটনায় ক্ষোভে ফেটে পড়েন স্থানীয় বিজেপি নেতারা, করিমপুরের বিভিন্ন জায়গায় পথ অবরোধ করেন তাঁরা। মুখ্য নির্বাচন কমিশনারের কাছে অভিযোগ জানাতে ছুটে যান মুকুল রায়”। তিনি বলেন, “আমি কখনও দেখিনি, একজন প্রার্থীকে এভাবে চড়থাপ্পর এবং লাথি মারা হচ্ছে। হামলাকারীরা তৃণমূলের গুণ্ডা, তাদের বাইরে থেকে আনা হয়েছে”।

নির্বাচন কমিশন থেকে এই বিষয়ে রিপোর্ট চাওয়া হয়েছে। নদিয়া জেলা ও প্রশাসনিক প্রধানের গ্রেফতারির দাবি জানিয়েছেন মুকুল রায়। তাঁর দাবি, “এই সমস্ত হয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে। এই ধরণের ঘটনা আর কোথাও হয় না”। তবে বিজেপি ছেড়ে কথা বলবে না সে বিষয়ে তাঁদের বক্তব্য এবং অবস্থান পরিষ্কার করেছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.