রবিবার দিল্লির গুরু তেগ বাহাদুর হাসপাতালে দুষ্কৃতীর গুলিতে প্রাণ হারান এক রোগী। কেন এক রোগীকে টার্গেট করা হল তার তদন্ত করতে গিয়ে উঠে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। জানা যাচ্ছে, রিয়াজউদ্দিন নামে ওই রোগী দুই গ্যাংয়ের লড়াইয়ের শিকার। একেবারে ভুল করেই তাকে গুলি করে দুষ্কৃতীরা।
পুলিসের তদন্ত উঠে এসেছে, মাত্র ১৮ বছরের এক শ্যুটার আরও দুজনের সঙ্গে হাসপাতালে প্রবেশ করে। সিসিটিভির ফুটেজে ধরা পড়েছে সেই ছবি। ওই দুষ্কৃতীরা ছিল হাসিম বাবা গ্যাংয়ের অন্যদিকে, তারা মারতে এসেছিল নাসির গ্যাংয়ের একজনকে। কিন্তু টার্গেট ভুল করে দুষ্কৃতীরা। গত ২৩ জুন পেটের ব্যথা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয় রিয়াজউদ্দিন। ভুল করে তাকে লক্ষ্য করেই গুলি চালিয়ে দেয় দুষ্কৃতীরা। সেই সময় তার পেটে ব্যান্ডেজ চলছিল।
ওই ঘটনার পরই হইচই পড়ে যায়। তদন্তে নেমে সিসিটিভির ফুটেজ পরীক্ষা করে পুলিস। এখনওপর্যন্ত ওই ঘটনায় ২ জনকে গ্রেফতার করেছে দিল্লি পুলিস। ফাইজ নামে যে যুবক গুলি চালিয়েছিল তাকে লোনি থেকে গ্রেফতার করে পুলিস। অন্যদিকে, সিলমপুর থেকে গ্রেফতার করা হয় ফারহান নামে অন্য এক দুষ্কৃতীকে।
ফাইজ পুলিসকে জানিয়েছে, গোট ঘটনার মাস্টারমাইন্ড বাদশা খান ওরফে ফাহিম। সে-ই তার বাড়িতে এক মিটিংয়ে কোথায় কীভাবে শ্যুট করতে হবে তা বুঝিয়ে দেয় কী ভাবে পালিয়ে আসতে হবে তাও বুঝিয়ে দেয়।
ঘটনার এক প্রত্যক্ষদর্শী একটি বৈদ্যুতিন চ্যানেলকে বলেছেন, ঘটনার সময় রিয়াজউদ্দিনের শরীরে ব্যান্ডেজ করছিলেন এক চিকিত্সক। তার মধ্যেই ঢুকে পড়ে ওই হামলাকারী। মুহূর্তের মধ্য়ে গুলি করে সে পালিয়ে যায়। রক্তে ভরে যায় রিয়াজের বিছানা। পুলিস এসে রিয়াজকে জীবিত অবস্থায় দেখতে পেলেও পরে তার মৃত্যু হয়। হামলাকারী যুবক পলাতক।