ISKCON, Gaudiya dance, রথযাত্রা উপলক্ষে গৌড়ীয় নৃত্য পরিবেশিত হল ইস্কনে

গত রবিবার ৭ জুলাই থেকে পুরীতে জগন্নাথ দেবের রথযাত্রার পাশাপাশি সারা ভারতেই শুরু হয়েছে রথযাত্রা। সেইসাথে আসানসোলের ‘ইস্কন’ মন্দিরও আয়োজন করেছে রথযাত্রার। আসানসোলের বুধা ময়দান প্রাঙ্গনে অনুষ্ঠিত হয়েছে এই উৎসব। বুধা ময়দান প্রাঙ্গণে বসেছে রথযাত্রা মেলা, শেষ হবে উল্টোরথের।

এই রথযাত্রা উপলক্ষে প্রতিদিনই সান্ধ্য অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। প্রতি বছরের মতো এই বছরেও বিভিন্ন আঞ্চলিক সাংস্কৃতিক দল গুলিকে আমন্ত্রণ জানানো হয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করার জন্য।

এই বছরে বাংলার শাস্ত্রীয় নৃত্য ‘গৌড়ীয় নৃত্য’ পরিবেশন করার জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয় বিশিষ্ট গৌড়ীয় নৃত্য শিল্পী কাবেরী পুইতণ্ডি কর ও তার সম্প্রদায়কে।

গত ১২ জুলাই তারা নরহরি চক্রবর্তীর লেখা ‘গীত চন্দ্রোদয়’ থেকে নেওয়া ‘বন্দনা মঙ্গলাচরণ’ দিয়ে নৃত্যানুষ্ঠান শুরু করেন। চামর ,কুলো সহযোগে পঞ্চভূত’কে তুষ্ট করে মাটির সরার উপর দাঁড়িয়ে শিল্পী বন্দনা মঙ্গলাচরণ পরিবেশন করেন।

দ্বিতীয় নিবেদন ছিল আলাপচারী। প্রাচীন কালে শ্রীকৃষ্ণ ও ব্রজাঙ্গনাগণ সপ্তস্বর সহযোগে বিভিন্ন আলাপচারিতায় মগ্ন থাকতেন। কাবেরীর সুযোগ্যা তিন ছাত্রী অত্যন্ত দক্ষতা সহযোগে এই আলাপচারী পরিবেশন করে।‌ মহাজন পদ নৃত্য ‘দশাবতার’-এর পঞ্চাবতার দিয়ে কাবেরী ও তার N.G.C.B. Foundation- এর ছাত্রীরা নৃত্যানুষ্ঠান শেষ করেন।

জয়দেবের “গীত-গোবিন্দ” থেকে নেওয়া এই দশাবতারের গান। এই দশাবতারে জীব জগতের বিবর্তনের কথা বলা হয়েছে। মৎস্য, কূর্ম, বরাহ, নরসিংহ, ও কল্কি অবতার দেখানো হয়েছে এই পঞ্চাবতারের মাধ্যমে।

কাবেরী ও তার ছাত্রীরা- অহনা, শুভশ্রী, অন্তরা অত্যন্ত দক্ষতার সাথে এই নৃত্য পরিবেশন করেছেন এবং দর্শকদের মুগ্ধ করেছেন। গৌড়ীয় নৃত্যের সমগ্র অনুষ্ঠানের সঙ্গীত পরিবেশনা ও পরিচালনায় ছিলেন পণ্ডিত অমিতাভ মুখোপাধ্যায়। সমগ্র নৃত্যানুষ্ঠান শেষে শ্রীমতী পুইতুন্ডি সমগ্র আসানসোল ইস্কন রথযাত্রা উৎসব কমিটি ২০২৪- কে ধন্যবাদ জানান।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.