Kolkata: রাস্তার নীচের মাটি খুঁড়ে উদ্ধার মহিলার অর্ধনগ্ন দেহ, কলকাতায় হাড়হিম কাণ্ড!

খাস কলকাতায় হাড়হিম কাণ্ড। রাস্তার নীচের মাটি খুঁড়ে উদ্ধার মহিলার অর্ধনগ্ন দেহ। আর সেই দেহ উদ্ধার ঘিরে তীব্র রহস্য। খুন করে লাশ গুম, নাকি দুর্ঘটনা। উঠে আসছে বহু প্রশ্ন। মহানগরে এমন রোমহর্ষক কাণ্ডের নজির হাতড়াচ্ছেন দুঁদে গোয়েন্দারা। শরীরের উপরের অংশে টি-শার্ট। নীচের অংশে কোনও পোশাক নেই। বয়স চল্লিশ থকে পঁয়তাল্লিশের মধ্যে। খাস কলকাতার অন্যতম ব্যস্ত রাস্তার নীচে থেকে উদ্ধার মহিলার দেহ। হাড়হিম, রোমহর্ষক কাণ্ডে হতবাক এলাকাবাসী।

কোনও গলি-ঘুঁজি নয়। বিশাল চওড়া মূল রাস্তা। সেই বড় রাস্তার নীচে দেহ! কাশী বোস লেনের বিধান সরণি। মুহুর্মুহু চলছে বাস, ট্যাক্সি, গাড়ি। চলছে ট্রামও। জনবহুল, অন্যতম ব্যস্ত রাস্তাতেই দুর্গন্ধ। খবর পেয়ে আসে পুলিস। রাস্তার পাশের মাটি খুঁড়ে সুড়ঙ্গের মতো তৈরি করা হয় রাস্তার নীচে পর্যন্ত। সেখানে ঢুকে মহিলার পায়ে দড়ি বাঁধেন এক ব্যক্তি। টেনে বার করা হয় দেহ। কিন্তু পরিচয় এখনও জানা যায়নি। তদন্তে নেমেছে পুলিস। দুর্গন্ধ পেয়ে স্থানীয়রা পুলিসে খবর দেন। পুলিস মাটি খুঁড়ে দেহ উদ্ধার করে। তারপই উঠে আসছে বহু প্রশ্ন-

প্রশ্ন ১: মৃত মহিলার পরিচয় বা ঠিকানা কি? 
প্রশ্ন ২: এলাকায় কেউ নিখোঁজ আছেন? নিখোঁজ ডায়েরি হয়েছে? 
প্রশ্ন ৩: খুন করে লাশ গুম করার চেষ্টা, নাকি পড়ে গিয়ে দুর্ঘটনা? 
প্রশ্ন ৪: দুর্ঘটনা হলে এত ব্যস্ত জনবহুল এলাকায় কারও নজরে পড়ল না? 
প্রশ্ন ৫: পড়ে গিয়ে কি রাস্তার এত নীচে চলে যেতে পারে দেহ?
প্রশ্ন ৬: মৃতদেহ শোয়ানো অবস্থায় ছিল, দুর্ঘটনা হলে সেটা কি সম্ভব?
প্রশ্ন ৭: মহিলার শরীরের নীচের অংশে পোশাক নেই কেন? 
প্রশ্ন ৮: নীচের অংশের পোশাক উদ্ধার হয়নি! কোথায় সেই পোশাক?  
প্রশ্ন ৯: লাশ গুম করার চেষ্টা হলে এমন ব্যস্ত এলাকায় কেন? 
প্রশ্ন ১০: রাস্তা খুঁড়ে দেহ পুঁতে দেওয়া হলে কারও চোখে পড়ল না? 

প্রসঙ্গত, কয়েকদিন আগেই পাইপ লাইনের কাজ হয়েছে এলাকায়। ৪ দিন আগে সেই গর্তও বুঁজিয়ে দিয়েছেন শ্রমিকরা। তবে মাটি চাপা দিয়ে খোঁড়াখুঁড়ি বুঁজিয়ে দিলেও বৃষ্টিতে ধস নেমে মাটি আলগা হয়ে দুর্ঘটনার আশঙ্কাও উড়িয়ে দিচ্ছেন না এলাকাবাসী। মহিলার দেহ পচে গলে যায়নি। পুলিসের প্রাথমিক অনুমান, দু-থেকে তিন দিন আগে মৃত্যু হয়েছে। দেহ দেখে অটোপসি বিশেষজ্ঞদের প্রাথমিক অনুমান, দেহে আঘাতের চিহ্ন নেই। কী কারণে মৃত্যু, জানতে আপাতত ময়নাতদন্তের অপেক্ষাতেই পুলিস।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.