‘সুফল বাংলা’য় স্বল্পমূল্যেই সব্জি বিক্রি করা হয়। তবে এবার ‘সুফল বাংলা’র চেয়েও দু’টাকা করে কমেই বিক্রি করা হল আনাজপত্র। সৌজন্য, হুগলি জেলা প্রশাসন। খোলা বাজারের থেকে বেশ খানিকটা কমেই কাঁচা আনাজ বিক্রি করল তারা। ফলে স্পষ্টতই খুশি ক্রেতারা। কাঁচা আনাজের দাম কমাতে বাজারে-বাজারে নজরদারির পরে এবার ক্রেতাদের সুরাহা দিতে এভাবেই কাঁচা আনাজ বিক্রি শুরু করল জেলা প্রশাসন। হুগলি জেলা শাসকের দফতরের সামনে গাড়ি করে সব্জি বিক্রি শুরু হয়।
হুগলি জেলা উদ্যান পালন দফতরের কৃষি ফার্ম রয়েছে। সেখানেই নানা ধরনের সব্জি চাষ হয়। পালংশাক, পেঁপে, বেগুন, বরবটি, ক্যাপসিকাম, টমেটো, শশা, ধনেপাতা উৎপাদন হয় সময় অনুযায়ী। বর্ষায় পলি হাউসে সব্জি চাষ হচ্ছে। এছাড়া অন্যান্য সব্জি সরাসরি চাষিদের থেকে কিনেও বিক্রি করা হচ্ছে। আর বাজারে সব্জির যা দাম তার থেকে বেশ কিছুটা কম দামেই বিক্রি করা হচ্ছে এখানকার সব্জি।
কোন আনাজের কত দাম?
পটল, ঝিঙে, কুমড়ো, পেঁপে ৩০ টাকা করে কিলো। পালংশাক কিলো ৪০ টাকা, শশা ৫০ টাকা। বেগুন ৮০ টাকা কিলো। আলু ২৮ টাকা, পিঁয়াজ ৩৮ টাকা কিলো।
জেলা উদ্যান পালন দফতরের আধিকারিক ড. শুভদীপ নাথ জানান, ‘সুফল বাংলা’র থেকে কিলো প্রতি দু টাকা কম দামে বিক্রি করা হচ্ছে সমস্ত আনাজ। কৃষি দফতর, উদ্যান পালন দফতর, কৃষি বিপণন দফতর ও সমবায় দফতরের পক্ষ থেকে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ফার্মার প্রডিউসার কোম্পানি লিমিটেড (এফপিসি)-এর মাধ্যমে সব্জি বিক্রি করা হয়। চাষিদের কাছ থেকে সরাসরি কিনে সাধারণ মানুষের কাছে বিক্রি করায় ফড়েদের কমিশন থাকছে না, ফলে কম দামে দিতে পারা যাচ্ছে। প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে দুপুর ২টো পর্যন্ত এভাবে বিক্রি হবে এই সব্জি।