মায়ের মৃতদেহ আগলে ঘরে ঠায় বসে রইলেন তাঁর একমাত্র মেয়ে। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে হাওড়ার চ্যাটার্জিহাট থানার অন্তর্গত তাঁতিপাড়া এলাকায়। মৃতদেহের পচা দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়ে গোটা এলাকায় এবং তার পরেই প্রতিবেশীদের সন্দেহ হয়। বুধবার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় চ্যাটার্জিহাট থানার পুলিশ। মৃতদেহটি উদ্ধার করে তারা ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়।
পুলিশ সূত্রে খবর, হাওড়ার চ্যাটার্জিহাট থানার তিব্বতিবাবা লেনের ওই বাড়িটিতে বৃদ্ধা মা মিনতি মুখোপাধ্যায় (৭০) ও মেয়ে কাকলি মুখোপাধ্যায় (৪৫) থাকতেন। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, মিনতি দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ ছিলেন এবং কাকলী মানসিক ভারসাম্যহীন। মিনতির ভাই বরুণ মাঝে মধ্যে তাঁদের সঙ্গে দেখা করতে আসতেন। বরুণ জানান, তিনি দিন-দশেক আগে শেষ বার তাঁদের খোঁজ নিতে এসেছিলেন।
প্রতিবেশীরা জানান, বেশ কয়েক দিন ধরে বাড়িটি থেকে পচা দুর্গন্ধ বেরোচ্ছিল। শেষমেষ উপায় না পেয়ে তাঁরা পুলিশে খবর দেন। দরজা ভেঙে ঘরের মেঝেতে পচাগলা অবস্থায় মিনতির দেহ উদ্ধার করেন পুলিশের আধিকারিকেরা। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, দেহটি বেশ কয়ক দিন পুরনো এবং অসুস্থতার কারণেই মিনতির মৃত্যু হয়েছে। পুলিশ অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।
পুলিশ সূত্রে খবর, দেহটিকে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে এবং কাকলীকে আপাতত একটি ‘রিহ্যাব’ কেন্দ্রে পাঠানো হয়েছে। ঘটনটিকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে গোটা এলাকায়।