মহারাষ্ট্র মামলার রায় আগামীকাল জানাবে সুপ্রিম কোর্ট। সোমবার মহারাষ্ট্র মামলার শুনানি শেষে শীর্ষ আদালত জানায় আগামীকাল অর্থাৎ মঙ্গলবার সকাল সাড়ে দশ’টায় রায় ঘোষণা করা হবে।
সোমবার মহারাষ্ট্র মামলার শুনানি নিয়ে সরগরম ছিল সারা দেশ। রাজনৈতিক মহলের আশঙ্কা সত্যি করেই বিজেপিকে সমর্থনের চিঠি পেশ করেন অজিত পাওয়ার। সোমবার সকালে সুপ্রিম কোর্টে শুনানি পর্বে পরিষদীয় দলের নেতা হিসাবে অজিত পাওয়ারের চিঠি পেশ করেন সরকার পক্ষের আইনজীবী সলিসিটার জেনারেল তুষার মেহতা।
গত ২২ নভেম্বর বিজেপির সঙ্গে জোট হয়েছে এমন কথা জানিয়ে রাজ্যপালকে চিঠি দিয়েছিলেন এনসিপি নেতা অজিত পাওয়ার। দেবেন্দ্র ফডণবীশ সরকার গড়ার ক্ষেত্রে তাঁর দলের ৫৪ জন বিধায়কের সম্মতি রয়েছে এমন কথাই জানিয়েছিলেন তিনি। সোমবার সুপ্রিম কোর্টে শুনানির শুরুতেই এই চিঠি পেশ করেন সরকার পক্ষের আইনজীবী।
এই বিষয়ে মুকুল রোহতগি বলেন, ‘বিজেপির সঙ্গে ১৭০ বিধায়কের সমর্থন রয়েছে। এ পরেও রাজ্যপালের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করা যায় কি?
সবকিছু খতিয়ে দেখেই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন রাজ্যপাল। উনি আস্থাভোটের জন্য যে দিন স্থির করেছেন, সে দিনই আস্থাভোট হওয়া উচিত। এ ব্যাপারে আদালতের নাক গলানোর উচিত নয়।’
গত রবিবারই কেন্দ্র এবং সরকারপক্ষের আইনজীবীদের সরকার গড়ার ক্ষেত্রে সংখ্যাগরিষ্ঠতার প্রমাণ, ফডণবীশ সরকারকে রাজ্যপালের আমন্ত্রণপত্র এবং রাজ্যপালের সরকার গড়ার সম্মতিপত্র এই তিনটি চিঠি পেশের নির্দেশ দিয়েছিল দেশের শীর্ষ আদালত।
সোমবার মামলার শুনানির প্রথম পর্বেই অজিত পাওয়ারের সঙ্গে বিজেপির জোট গড়ার চিঠি পেশ করে সরকার পক্ষের আইনজীবী। এই প্রসঙ্গে অজিত পাওয়ারের আইনজীবী আদালতকে জানান, অজিত পাওয়ার দলীয় প্রধান এবং তাঁর সঙ্গে রয়েছেন এনসিপি দলের ৫৪ জন সাংসদ। এই চিঠি ছাড়াও আরও দু’টি চিঠি পেশ করা হয়েছে।
অন্য দিকে বিরোধী পক্ষের আইনজীবী কপিল সিব্বল জানান, রাষ্ট্রপতি শাসন চলাকালীন কীভাবে মন্ত্রীসভার বৈঠক ডাকা হল? এই ধরনের বিষয় সম্পূর্ণ অসাংবিধানিক। একমাত্র জরুরী অবস্থা চলাকালীনই এই ধরনের ঘটনা ঘটতে পারে। এই প্রসঙ্গে বিচারপতি খন্না জানান, এই বিষয় তো কোনও তথ্যই পেশ করা হয়নি। কোর্ট শুধুমাত্র পেশ হওয়া তথ্যে উপরেই আলোচনা করে।
শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী প্রতিটি চিঠিই খতিয়ে দেখছে সুপ্রিম কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। এই বিষয়ে শীঘ্রই সিদ্ধান্ত নিতে পারে শীর্ষ আদালত। অন্য দিকে এই মামলার শুনানি চলাকালীনই উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল সংসদ। ‘গণতন্ত্রের’ হত্যা করা হয়েছে বলে সরব হয় কংগ্রেস। রাহুল গান্ধীকে দেখা যায় মহারাষ্ট্রের বিষয় নিয়ে সংসদে সোচ্চার হতে। তিনি ছাড়াও সংসদে কংগ্রেসের বাকি সাংসদরাও অধিবেশন শুরু হতেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন।