ম্যাচে নামার সুযোগ হয়নি তাঁর। বেঞ্চে বসেই দেখতে হয় দলের জয়। খেলতে না পেয়ে স্বভাবতই হতাশ ছিলেন গনসালো র্যামোস। তবে সেখানেই শেষ নয়, ম্যাচের পরে নিরাপত্তারক্ষীর লাথি খেতে হল পর্তুগালের ফুটবলারকে। তাতে চোটও পেলেন তিনি।
ইউরো কাপে পর্তুগাল-তুরস্ক ম্যাচ শেষে মাঠে ঘটল অবাক কাণ্ড। ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোর সতীর্থ র্যামোসকে ‘ট্যাক্ল’ করেন এক নিরাপত্তারক্ষী। অবশ্য ইচ্ছা করে নয়। নিজের দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে এই ভুল করে ফেলেন তিনি।
তুরস্ককে ৩-০ গোলে হারিয়েছে পর্তুগাল। খেলা শেষে মাঠে নেমে সতীর্থদের শুভেচ্ছা জানাতে যাচ্ছিলেন র্যামোস। ঠিক সেই সময় দু’জন যুবক মাঠে ঢুকে পড়েন। তাঁদের আটকাতে দৌড়ন নিরাপত্তারক্ষীরা। সেই সময় এক নিরাপত্তারক্ষী এক জনকে লাথি মারতে যান। তিনি সরে যাওয়ায় সরাসরি গিয়ে র্যামোসের পায়ে মারেন সেই নিরাপত্তারক্ষী। পড়ে যান র্যামোস। পাশেই ছিলেন রোনাল্ডো। সঙ্গে সঙ্গে সতীর্থকে তোলেন তিনি। তার পর খোঁড়াতে দেখা যায় র্যামোসকে। তাঁর পায়ে কতটা লেগেছে তা জানা যায়নি। তবে এই ঘটনায় পর্তুগালের ফুটবলারদের বিরক্তি প্রকাশ করতে দেখা যায়।
পর্তুগাল-তুরস্ক ম্যাচে খেলা চলাকালীন মোট ছ’জন মাঠে ঢুকে পড়েন। প্রথম ঘটনাটি ঘটে পর্তুগাল তৃতীয় গোল করার পরে। মাঠে ঢুকে পড়ে এক কিশোর। সে গিয়ে সরাসরি রোনাল্ডোর সামনে চলে যায়। তাকে দেখে অবশ্য রোনাল্ডো রাগ করেননি। হাসি মুখে তার সঙ্গে নিজস্বী তোলেন। তার পরে কিশোর মাঠ থেকে বার হওয়ার চেষ্টা করলে নিরাপত্তারক্ষীরা তার পিছনে ছোটেন। অনেক কষ্টে তাকে ধরেন তাঁরা।
তার পরেই দেখা যায় এক তরুণ মাঠে ঢুকে পড়েছেন। তিনি গিয়ে সোজা রোনাল্ডোকে জড়িয়ে ধরেন। রোনাল্ডোর ঘাড়়ের কাছে হাত নিয়ে গিয়ে নিজস্বী তোলার চেষ্টা করেন। সঙ্গে সঙ্গে অবশ্য নিরাপত্তারক্ষীরা এসে তরুণকে সরিয়ে নিয়ে যান। এই ঘটনা ভাল ভাবে নেননি রোনাল্ডো। তাঁকে মেজাজ হারাতে দেখা যায়।
তার পরে সংযুক্তি সময় চলাকালীন আরও দুই যুবক মাঠে ঢোকার চেষ্টা করেন। সেই সময় অবশ্য নিরাপত্তারক্ষীরা প্রস্তুত ছিলেন। তাঁরা দু’জনকে ধরে ফেলেন। খেলা শেষের বাঁশি বাজার পরে আরও দু’জন মাঠে ঢোকার চেষ্টা করেন। তাঁদেরও কিছু ক্ষণের চেষ্টায় ধরে ফেলা হয়। এই ঘটনায় অবশ্য উদ্বেগ বেড়েছে ফুটবলারদের নিরাপত্তা নিয়ে। পর্তুগালের কোচ রবার্তো মার্তিনেসও এই ঘটনায় বিরক্তি প্রকাশ করেছেন।