অবাক করা সকাল মহারাষ্ট্রবাসীর কাছে। হঠাৎ করেই পনেরো দিন আগের রাষ্ট্রপতি শাসন শনিবার ভোর ৫টা ৪৭মিনিটে তুলে নেওয়া হয়। নতুন সকালে মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী নতুনরূপে পুরনো মুখ দেবেন্দ্র ফড়নবীশ।
কিছুটা স্বপ্ন, কিছুটা অবিশ্বাস্য হলেও একরাতের খেলাই শেষ কথা জানিয়েছে মহারাষ্ট্র রাজনীতির মাঠে। বিজেপি-এনসিপি জোট সব জল্পনার অবসান ঘটিয়েছে। তবে প্রশ্ন উঠছে গণতন্ত্র নিয়ে, গণতান্ত্রিক পদ্ধতি নিয়ে।
মহারাষ্ট্রের রাজনৈতিক নাটকে নয়া মোড়। শনিবার সকালেই মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নিলেন দেবেন্দ্র ফড়নবিশ। এদিন রাজভবনে গিয়ে শপথ নিয়েছেন তিনি।
উপ মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নিয়েছেন এনসিপি-র অজিত পাওয়ার। যদিও শরদ পাওয়ারের দাবি, অজিত পাওয়ার তাঁর ব্যক্তিগত সিদ্ধান্তে বিজেপিকে সমর্থন করছেন, এতে তাঁর কোনও সমর্থন নেই।
জানা গিয়েছে, অজিত পাওয়ারকে সমর্থন করছেন আরও ২২ এনসিপি এমএলএ। সঙ্গে কয়েকজন শিব সেনা বিধায়কদের সমর্থন রয়েছে বলেও জানা গিয়েছে। ইতিমধ্যেই ফড়নবিশকে মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নেওয়ার জন্য অভিনন্দন জানিয়েছেন নরেন্দ্র মোদী।
রাত পর্যন্ত এমন পট পরিবতর্নের কোনও লক্ষণ ছিল না। গতকাল কংগ্রেস, শিবসেনা এবং এনসিপির বৈঠক কার্যত চূড়ান্ত হয়ে যায়, সেনা প্রধান উদ্ধব ঠাকরেই হচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী। এব্যাপারে সব দল সম্মতি দিয়েছে। ছেলে আদিত্যকে নিয়ে বেরিয়ে এসে যদিও এব্যাপারে ভেঙে বলতে চাননি উদ্ধব। শিবসেনা সুপ্রিমো জানান, আলোচনা ইতিবাচক ও ফলপ্রসূ হয়েছে।
শনিবার যদিও শরদ পাওয়ার দাবি করেছেন যে অজিত পাওয়ারের সিদ্ধান্তে তাঁর কোনও সমর্থন নেই। তবে, সূত্রের দাবি, শরদ পাওয়ারের সমর্থন ছাড়া এমন কোনও সিদ্ধান্ত সম্ভব নয়।
কয়েকদিন আগে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে সাক্ষাত্ করেন এনসিপি প্রধান শরদ পাওয়ার। মহারাষ্ট্রের কৃষকদের দুর্দশা নিয়ে কথা হয় তাঁদের। কিন্তু ওই বৈঠকই বিজেপির সঙ্গে গাঁটছড়ার জল্পনা আরও উস্কে দিয়েছিল। শরদ পাওয়ারের এই পদক্ষেপে তীব্র বিরোধিতা জানিয়েছিল কংগ্রেসের একাংশ। এমনও খবর প্রকাশিত হয়, শরদ পাওয়ারকে রাষ্ট্রপতি করার অফার দেওয়া হয়েছে বিজেপির তরফে। কংগ্রেস নেতা সঞ্জয় নিরুপমের অভিযোগ, বিজেপির সঙ্গে তলে তলে যোগাযোগ রাখছে এনসিপি।