আবারও সেই ভিভিএস লক্ষ্মণকেই (VVS Laxman) দেখা যেতে চলেছে ভারতীয় (Team India) দলের হটসিটে। জাতীয় ক্রিকেট অ্য়াকাডেমির প্রধানের কাছে বার্তা চলে গিয়েছে যে, জুলাইয়ের অ্যাসাইনমেন্টের জন্য় তিনি যেন তাঁর সাপোর্ট স্টাফ নিয়ে প্রস্তুত থাকেন। এমনটাই রিপোর্ট একাধিক মিডিয়ার।
টি-২০ বিশ্বকাপ শেষ হলেই ভারত উড়ে যাবে জিম্বাবোয়ে। জুলাইয়ে পাঁচ ম্য়াচের টি-২০ সিরিজে মুখোমুখি হবে দুই দেশ। চলতি সপ্তাহের শেষে জাতীয় দলের নির্বাচকরা, ভারতের জিম্বাবোয়ে সফরের দল বেছে নেবে। সেই দলে লক্ষ্মণের কোচিংয়ে খেলবে বলেই এসেছে আপডেট। আইপিএলে যে তরুণ ক্রিকেটাররা ভালো পারফর্ম করেছেন ও বিসিসিআইয়ের চোখে যাঁরা রয়েছেন, তাঁদের নিয়েই হবে সেই টিম।
জিম্বাবোয়ে সিরিজের আগে এনসিএ-তেই লক্ষ্মণের নেতৃত্বে হবে জাতীয় শিবির। সেখান থেকেই বেছে নেওয়া হবে দল। এই প্রথম নয়, অতীতে একাধিকবার স্ট্য়ান্ড-ইন কোচ হিসেবে দায়িত্ব সামলেছে লক্ষ্মণ। ফলে তাঁর কাছে এই কাজ নতুন কিছু নয়। তবে লক্ষ্মণ আগেই জানিয়ে ছিলেন যে, তিনি পাকাপাকি ভাবে দলের দায়িত্ব নিতে একেবারেই ইচ্ছুক নন। দ্রাবিড় পরবর্তী ভারতীয় দলের মাথায় অনেকেই চেয়েছিলেন প্রাক্তন স্টাইলিশ ব্য়াটারকে।
সংবাদসংস্থা পিটিআই এক সূত্রকে উদ্ধৃত করে রিপোর্ট করেছে, ‘দেখুন যথেষ্ট সম্ভাবনা রয়েছে যে, লক্ষ্মণ এবং কিছু এনসিএ কোচ নতুন চেহারার স্কোয়াড নিয়ে জিম্বাবোয়েতে যাবেন। খেয়াল করে দেখবেন, রাহুল দ্রাবিড় এবং প্রথম দলের কোচরা যখনই তাদের কর্মকালের সময় পর্যায়ক্রমিক বিরতি নিয়েছেন, তখনই লক্ষ্মণ এবং এনসিএ দল সবসময় সেই জায়গা পূরণ করেছে।’
জানা যাচ্ছে যে, নীতীশ রেড্ডি, রিয়ান পরাগ, যশ দয়াল ও হর্ষিত রানারা সুযোগ পেতে পারেন। দলের নেতৃত্ব দিতে চলেছেন হার্দিক পাণ্ডিয়া। যদি হার্দিক বিশ্রাম না চান, তাহলে বিশ্বের এক নম্বর টি-২০ ব্য়াটার সূর্যকুমার দায়িত্বকে দেওয়া হবে অধিনায়কত্বের গুরুদায়িত্ব। অতীতে তিনি ঘরের মাঠে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ও বিদেশে দক্ষিণ আফ্রিকায় নেতৃত্ব দিয়েছেন টি-২০ ফরম্য়াটে নীল জার্সিতে। এখনই বলে দেওয়া যায় বিরাট কোহলি, রোহিত শর্মা ও জসপ্রীত বুমরার মতো সিনিয়ররা জিম্বাবোয়ে যাবেন না।
অন্য়দিকে গৌতম গম্ভীরই যে ভারতের পরবর্তী হেড কোচ হতে চলেছেন, তা প্রায় সকলেরই জানা। দ্রাবিড়ের জুতোয় পা গলাতে চলেছেন তিনি। মনে করা হচ্ছে যে, গম্ভীর জুলাইয়ের মাঝামাঝি সময়ে দায়িত্ব নেবেন। ভারত তখন উড়ে যাবে শ্রীলঙ্কায়। সাদা বলের ক্রিকেটে দুই দেশ তিনটি করে টি২০আই ও সমসংখ্য়ক ওডিআই খেলবে। গম্ভীরের কাছেও পূর্ণ স্বাধীনতা থাকবে তাঁর সাপোর্ট স্টাফ বেছে নেওয়ার।