চেষ্টা করেও অঘটন ঘটাতে পারল না আমেরিকা, ১৮ রানে জিতে সুপার ৮ শুরু দক্ষিণ আফ্রিকার

অনেক চেষ্টা করেও অঘটন ঘটাতে পারল না আমেরিকা। চলতি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সুপার ৮-এ ফর্মে দক্ষিণ আফ্রিকা। নিজেদের প্রথম ম্যাচে আমেরিকাকে ১৮ রানে হারাল তারা।

ওয়েস্ট ইন্ডিজ়ের মাটিতে খেলতে নেমে ভাল ব্যাট করলেন দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটারেরা। ফর্মে ফিরলেন ওপেনার কুইন্টন ডি’কক। অপর ওপেনার রিজ়া হেনড্রিক্স রান না পেলেও অধিনায়ক আইডেন মার্করামের সঙ্গে মিলে দলের রানকে এগিয়ে নিয়ে যেতে থাকেন ডি’কক। পাওয়ার প্লে কাজে লাগান তাঁরা। ওভার ১০ রানের বেশি উঠছিল।

দক্ষিণ আফ্রিকাকে সুবিধা করে দেন জশদীপ সিংহ। তাঁর প্রথম ওভারে ওঠে ২৮ রান। অর্ধশতরান করেন ডি’কক। দুই ব্যাটারেরা মধ্যে ১১০ রানের জুটি হয়। আমেরিকাকে খেলায় ফেরান হরমিত সিংহ। পর পর দু’বলে ডি’কক ও ডেভিড মিলারকে আউট করেন তিনি। ডি’কক ৪০ বলে ৭৪ রান করেন। মিলার শূন্য রানে আউট হন। মার্করামকে ৪৬ রানে আউট করেন সৌরভ নেত্রাভলকর।

মাঝের ওভারে রানের গতি কিছুটা কমে দক্ষিণ আফ্রিকার। ফলে ২০০ পার হয়নি তাদের। শেষ পর্যন্ত ২০ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে ১৯৪ রান করে দক্ষিণ আফ্রিকা। হেনরিখ ক্লাসেন ৩৬ ও ট্রিস্টান স্টাবস ২০ রানে অপরাজিত থাকেন।

জবাবে শুরুটা ভাল করে আমেরিকা। ওপেনার স্টিভেন টেলর ও আন্দ্রিস গৌস দ্রুত রান করছিলেন। টেলরকে ২৪ রানে আউট করে আমেরিকাকে প্রথম ধাক্কা দেন কাগিসো রাবাডা। পাওয়ার প্লে-র মধ্যে নীতীশ কুমারকেও আউট করেন তিনি।

ওপেনার গৌস ভাল খেললেও মাঝের ওভারে পাশে কাউকে পেলেন না তিনি। পর পর উইকেট পড়তে থাকে আমেরিকার। ৭৬ রানে অর্ধেক দল সাজঘরে ফেরে। এই ম্যাচে ব্যর্থ অধিনায়ক অ্যারন জোনস। শূন্য রানে আউট হন তিনি। কোরি অ্যান্ডারসন করেন ১২ রান।

এক দিকে উইকেট পড়লেও হাল ছাড়েননি গৌস। অর্ধশতরান করেন তিনি। তাঁকে সঙ্গ দেন হরমিত। দু’জনের মধ্যে ৯১ রানের জুটি হয়। এই জুটি আশা বাড়িয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকার। কিন্তু ৩৮ রানের মাথায় হরমিতকে আউট করেন সেই রাবাডা। ফলে একা পড়ে যান গৌস। শেষ ওভারে জিততে দরকার ছিল ২৬ রান। ৭ রান করতে পারে আমেরিকা। ১৮ রানে জেতে দক্ষিণ আফ্রিকা। ৪৭ বলে ৮০ রান করে অপরাজিত থাকেন গৌস।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.