খরিফ মরসুমে ধানের ন্যূনতম সহায়ক মূল্য কুইন্টাল প্রতি ১১৭ টাকা বৃদ্ধি পেল। বুধবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর উপস্থিতিতে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বৈঠকের পরে সরকার ২০২৪-২৫ সালের খরিফ মরসুমে ১৪টি ফসলের জন্য ন্যূনতম সহায়ক মূল্য (এমএসপি) ঘোষণা করেছে।
বৈঠকের পর সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণো বলেন, ‘‘আমরা ধানের ন্যূনতম সহায়ক মূল্য কুইন্টাল প্রতি ১১৭ টাকা বাড়িয়ে ২৩০০ টাকা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’’ কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার আর্থিক বিষয়ক কমিটির সুপারিশ মেনেই এই সিদ্ধান্ত। বৈষ্ণোর কথায়, ‘‘মোদীজির প্রধানমন্ত্রিত্বের তৃতীয় দফায় কৃষকদের স্বার্থে এই গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ করা হল।’’ তাঁর দাবি, উৎপাদনের খরচের তুলনায় এমএসপির হার দেড় গুণ বেশি।
প্রসঙ্গত, গত বছর জুন মাসে ধানের ক্ষেত্রে কুইন্টাল প্রতি এমএসপি ১৪৩ টাকা বাড়িয়েছিল মোদী সরকার। ন্যূনতম সহায়ক মূল্যেই সরকার চাষিদের থেকে শস্য সংগ্রহ করে। তবে অর্থনীতিবিদদের একাংশের বিশ্লেষণ, দেশের খুচরো বাজারে এখন মূল্যবৃদ্ধির যা হার, দাম বৃদ্ধি তার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ হয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখা প্রয়োজন। আবার এমএসপি বেশি বাড়ানো হলে তা উল্টে মূল্যবৃদ্ধিতে বাড়তি ইন্ধন জোগাতে পারে। সে কারণেই পুরো বিষয়টির ভারসাম্য রক্ষা করা জরুরি বলে মনে করছেন অর্থনীতিবিদদের ওই অংশ।
বুধবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার ওই বৈঠকে মহারাষ্ট্রের পালঘর জেলার বধাবনে ৭৬,২০০ কোটি টাকায় সব ঋতুতে ব্যবহারোগ্য ‘গ্রিনফিল্ড ডিপ ড্রাফ্ট বন্দর’ নির্মাণের প্রস্তাব অনুমোদন পেয়েছে। বৈষ্ণো জানিয়েছেন, প্রকল্পটি যথাক্রমে ৭৪ শতাংশ এবং ২৬ শতাংশ অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে জওহরলাল নেহরু বন্দর কর্তৃপক্ষ (জেএনপিএ) এবং মহারাষ্ট্র মেরিটাইম বোর্ড (এমএমবি) দ্বারা নির্মিত হবে। তিনি বলেন, ‘‘ন’টি টার্মিনাল বিশিষ্ট ওই বন্দর বিশ্বের ১০টির তালিকায় আসবে। এই প্রকল্পে ১২ লক্ষ কর্মসংস্থান হবে।’’ ঘটনাচক্রে, আগামী চার মাসের মধ্যেই মহারাষ্ট্রে বিধানসভা ভোট হওয়ার কথা।
রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা ‘ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব উইন্ড এনার্জি’ (এনআইডব্লিউই)-র সমীক্ষা ও সুপারিশের ভিত্তিতে বায়ুবিদ্যুৎ প্রকল্প নির্মাণের উদ্দেশ্যে ‘ভায়াবিলিটি গ্যাপ ফান্ডিং’ (ভিজিএফ) তহবিলে কেন্দ্র ৭৪৫৩ কোটি টাকা দেবে বলে জানিয়েছেন বৈষ্ণো। তামিলনাড়ু এবং মোদীর রাজ্য গুজরাতে নির্মিত হবে ওই বায়ুবিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলি। মোদীর লোকসভা কেন্দ্র বারাণসীর বিমানবন্দরের সংস্কার ও উন্নয়নে ২৮৬৯ কোটি টাকা ব্যয়েরও বিষয়েও বুধবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে জানান তিনি।