ফ্লরিডার রাস্তায় ছবি তুলতে চাওয়া এক পাক সমর্থককে মারতে গিয়েছিলেন হ্যারিস রউফ। কয়েক জনের চেষ্টায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। সমাজমাধ্যমে ঘটনার ভিডিয়ো ভাইরাল হতে সমালোচনা শুরু হয় পাকিস্তানের জোরে বোলারের। চাপে পড়ে এ বার ঘটনার ব্যাখ্যা দিলেন রউফ।
সমাজমাধ্যমে নিজের বক্তব্য জানিয়েছেন রউফ। পাক জোরে বোলারের দাবি, ওই সমর্থক তাঁকে ক্রমাগত গালাগালি করেছেন। আত্মপক্ষ সমর্থন করে বাবর আজ়মের সতীর্থ লিখেছেন, ‘‘সমাজমাধ্যমে বিষয়টি নিয়ে কথা না বলার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। কিন্তু ঘটনার ভিডিয়ো ভাইরাল হওয়ার পর পরিস্থিতি মোকাবিলা করা প্রয়োজন বলে মনে হচ্ছে। এক জন পরিচিত ব্যক্তি হিসাবে মানুষের মতামত মুক্ত মনে গ্রহণ করি। মানুষ তাঁদের মতামত দিতেই পারেন। কিন্তু আমার বাবা-মা বা পরিবারের কাউকে টেনে আনা হলে আমাকে প্রতিক্রিয়া জানাতেই হবে। এ নিয়ে আমার মনে কোনও দ্বিধা নেই। পেশা নির্বিশেষে কারও প্রতি বা তাঁর পরিবারের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করা গুরুত্বপূর্ণ।’’ রউফ বলতে চেয়েছেন, পাকিস্তানের ওই সমর্থক তাঁর বাবা-মা এবং পরিবারের সদস্যদের জড়িয়ে কুমন্তব্য করেছিলেন। যা মেনে নিতে পারেননি তিনি। তারই প্রতিবাদ করেছেন।
স্ত্রীকে নিয়ে ফ্লরিডার রাস্তায় হাঁটছিলেন রউফ। সে সময় পাকিস্তানের এক ক্রিকেটপ্রেমী ছবি তোলার অনুরোধ করেন পাকিস্তানের জোরে বোলারকে। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে যাওয়ায় হতাশ রউফ সেই অনুরোধ ফিরিয়ে দেন। তার পরেও ওই সমর্থক একসঙ্গে ছবি তোলার আবদার করতে থাকেন। তাতেই মেজাজ হারান রউফ। ওই সমর্থকের দিকে তেড়ে যান। তাঁকে মারতে যান। ক্ষুব্ধ রউফকে প্রথমে আটকানোর চেষ্টা করেন তাঁর স্ত্রী। লাভ হয়নি। স্ত্রীর হাত ছাড়িয়ে ওই সমর্থকের কাছে পৌঁছে যান। পরিস্থিতি সামলাতে ছুটে আসেন আর এক দম্পতি। তাঁরা কোনও রকমে আটকান রউফকে। এই ঘটনার ভিডিয়ো সমাজমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে গ্রুপ পর্ব থেকে বিদায় নিয়েছে গত বারের রানার্স পাকিস্তান। তার পর নানা বিতর্ক তৈরি হয়েছে পাকিস্তানের ক্রিকেটে। ফ্লরিডার ঘটনায় বিতর্কে জড়িয়েছেন পাক ক্রিকেটার।