জলের তলায় নদীর পারের বহু বাড়িই, ভেসে গিয়েছে রাস্তাও, সিকিমে বৃষ্টি হলেই কালিম্পঙে গজরাচ্ছে তিস্তা!

লাগাতার বৃষ্টির জেরে বিপর্যস্ত উত্তর সিকিম। প্রবল বৃষ্টির কারণে তিস্তার জলস্তর বেড়ে ক্ষতিগ্রস্ত উত্তরবঙ্গের কালিম্পং জেলার একাংশও। তিস্তাবাজার এলাকার দেওগ্রামের রাস্তা ভাসিয়ে নিয়ে গিয়েছে নদী। নদীর পারের বহুতলের সিংহভাগই এখন জলের নীচে চলে গিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে বিগত দু’দিন ধরে আতঙ্কে প্রহর গুনছেন দেওগ্রামের বাসিন্দারা।

সিকিমে এখনও ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। লাল সতর্কতা রয়েছে উত্তর সিকিমে। বৃহস্পতিবার রাতের দিকে বৃষ্টি খানিক থামায় তিস্তার জলস্তর নেমেছিল। শুক্রবার সকাল থেকে নাগাড়ে বৃষ্টি শুরু হতেই ফুলেফেঁপে উঠেছে তিস্তা। তবে পরিস্থিতি এখনও বিপদসীমার বাইরে যায়নি। সেই কারণে আগেভাগেই একেবারে তিস্তাপারের বাসিন্দাদের নিরাপদ জায়গায় স্থানান্তরিত করার কাজ শুরু হয়েছে। আবার অনেক পরিবার বাড়ি ছেড়ে অন্যত্র উঠেছে।

—নিজস্ব চিত্র।

স্থানীয় বাসিন্দা সুনয়না প্রসাদ বলেন, ‘‘বাড়িঘরের অধিকাংশই ডুবে গিয়েছে। গত দু’দিন ধরে উপরের একটি ঘরেই থাকছিলাম আমরা। কী যে ভয়াবহ পরিস্থিতি, তা ভাষায় প্রকাশ করা যাবে না। সব সময় আতঙ্কের মধ্যে থাকতে হচ্ছে।’’ শেখ রাজিয়া আলম নামে আর এক জন বলেন, ‘‘আমার বাড়ি নদী থেকে একটু দূরেই। তা-ও তো জল ঢুকে গিয়েছে। তা হলে ভাবুন, যাঁরা কাছাকাছি থাকেন, তাঁদের কী অবস্থা! হড়পা বানের পর থেকেই দেখছি, নদীতে হঠাৎ হঠাৎ জলস্তর বেড়ে যাচ্ছে।’’

শুক্রবার সকালেই তিস্তাবাজার এলাকায় গিয়েছেন প্রশাসনের আধিকারিকেরা। কালিম্পঙের পুলিশ সুপার শ্রীহরি পাণ্ডে বলেন, ‘‘বৃষ্টির কারণে নদীতে জলের স্রোত অনেক বেশি। বহু জায়গা ধসে গিয়েছে। সেগুলো সারিয়ে তুলতে খানিকটা সময় লাগবে। নদী সংলগ্ন যে বাড়িগুলো রয়েছে, সেই পরিবারগুলিকে সুরক্ষিত জায়গায় স্থানান্তরিত করা হয়েছে। গোটা বিষয়ের উপর আমাদের নজর রয়েছে।’’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.