Rintu Banerjee, IIT Kharagpur, আইআইটি খড়্গপুরের নতুন সহ-অধিকর্তা হচ্ছেন অধ্যাপক রিন্টু ব্যানার্জি

আইআইটি খড়্গপুরের নতুন ডেপুটি ডিরেক্টর বা সহ-অধিকর্তা হতে চলেছেন অধ্যাপক রিন্টু ব্যানার্জি। ‘প্রথম’ মহিলা হিসেবে তিনি আইআইটি খড়্গপুরের সহ-অধিকর্তা হচ্ছেন বলে বৃহস্পতিবার বিকেলে এক প্রেস বিবৃতিতে জানিয়েছেন আইআইটি খড়্গপুর কর্তৃপক্ষ।

উল্লেখ্য যে, ভারতের প্রাচীনতম প্রযুক্তিবিদ্যার প্রতিষ্ঠান তথা আইআইটি খড়্গপুরের সুদীর্ঘ ৭৩ বছরের ইতিহাসে (১৯৫১ সালে প্রতিষ্ঠিত) এই প্রথম ডেপুটি ডিরেক্টরের মতো গুরুত্বপূর্ণ ও মর্যাদাপূর্ণ পদে একজন মহিলার ‘অভিষেক’ যে নিঃসন্দেহে তাৎপর্যপূর্ণ বিষয়, তা মানছেন আইআইটি খড়্গপুরের অধ্যাপক, অধ্যাপিকা, পড়ুয়া, প্রাক্তনী থেকে সংশ্লিষ্ট সকলেই।

প্রসঙ্গত এও উল্লেখ্য, অধ্যাপক অমিত পাত্র’র স্থলাভিষিক্ত হচ্ছেন অধ্যাপক রিন্টু বন্দ্যোপাধ্যায়। সম্প্রতি, অধ্যাপক পাত্র আইআইটি বারাণসী (IIT Varanasi)-র ডিরেক্টর হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছেন। আইআইটি খড়্গপুরের তরফে জানানো হয়েছে, অধ্যাপিকা ব্যানার্জি আইআইটি খড়্গপুরের পি.কে সিনহা সেন্টার ফর বায়োএনার্জি অ্যান্ড রিনিউয়েবলের প্রতিষ্ঠাতা প্রধান এবং বর্তমান চেয়ারপার্সন। আইআইটি খড়্গপুরের কৃষি ও খাদ্য প্রকৌশল বিভাগের (Agriculture and Food Engineering) প্রধান হিসেবে তিনি ৩ বছর দায়িত্ব পালন করেছেন। শুধু তাই নয়, আইআইটি খড়্গপুরের রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট বিভাগের ডিন হিসেবে এবং গ্রামীণ উন্নয়ন, উদ্ভাবনী ও টেকসই প্রযুক্তি কেন্দ্রের (Centre for Rural Development, Innovative and Sustainable) প্রধান হিসেবে কৃতিত্বের পরিচয় দিয়েছেন অধ্যাপিকা ব্যানার্জি। তাঁর উদ্বাবনী দক্ষতা ও আবিষ্কার কেবল ভারতেই নয়, আন্তর্জাতিক মহলেও প্রশংসিত। জৈব প্রযুক্তির মাধ্যমে দেশের আর্থিক ও বৈজ্ঞানিক জগতে অসামান্য অবদান জন্য ICAR-র অসামান্য মহিলা বিজ্ঞানী হিসেবে তিনি ‘পাঞ্জাবরাও দেশমুখ পুরস্কার’- এ ভূষিত হয়েছেন।
এছাড়াও, ভারতের বায়োটেক রিসার্চ সোসাইটি দ্বারা ‘সেরা মহিলা জীববিজ্ঞানী’; অ্যাসোসিয়েশন ফর ফুড সায়েন্টিস্ট অ্যান্ড টেকনোলজিস্ট (ভারত) থেকে ‘ইয়ং সায়েন্টিস্ট অ্যাওয়ার্ড’, লুই পাস্তুর পুরস্কার, মদন মোহন মালব্য পুরস্কার এবং রফি আহমেদ কিদওয়াই পুরস্কার-ও পেয়েছেন অধ্যাপক রিন্টু ব্যানার্জি। একজন জীব বিজ্ঞানী হিসেবে সারা পৃথিবীজুড়ে নিজের অসামান্য প্রতিভা ও উদ্ভাবনী সত্ত্বার স্বাক্ষর রেখেছেন। অধ্যাপক ব্যানার্জি জানিয়েছেন, “আমি গর্বিত ও সম্মানিত। একজন ডেপুটি ডিরেক্টর হিসেবে স্বল্প ব্যয়ে শক্তিশালী ও উন্নত প্রযুক্তির আবিষ্কারের মাধ্যমে দেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতিতে আইআইটি খড়্গপুরের অসামান্য অবদান তুলে ধরাই আমার লক্ষ্য হবে। সেই সঙ্গে আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে দেশের প্রাচীনতম এই আইআইটি’র গুরুত্ব ও মর্যাদা আরও বৃদ্ধি করতেও আমি নিরলস প্রচেষ্টা চালিয়ে যাব।”

অধ্যাপিকা বন্দ্যোপাধ্যায়কে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন আইআইটি খড়্গপুরের অধিকর্তা (Director) অধ্যাপক বীরেন্দ্র কুমার তেওয়ারি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.