গতকাল রাতে বৃষ্টি হয়েছে কলকাতা-সহ রাজ্যের কয়েকটি জেলায়। তবে দক্ষিণের কিছু জেলায় আজ থেকে বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি শুরু হবে। শুক্রবার থেকে কিছুটা বাড়বে বৃষ্টির পরিমাণ। রবিবার আরও কিছুটা বাড়বে বৃষ্টি। চলতি উইক এন্ডে সাময়িক ভাবে তাপ্রবাহের কবলে বাইরে যেতে চলেছে বাংলা।
বৃহস্পতিবার উত্তরের উপরের দিকের ৫ জেলায় ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি হবে। মালদহ এবং দক্ষিণ দিনাজপুরের কিছু অংশে ভারী বৃষ্টি হতে পারে। বাকি অংশে হালকা মাঝারি বৃষ্টি হবে। আজ দক্ষিণের হাওড়া, হুগলি, কলকাতা এবং উপকূলের দুই জেলা বাদ দিয়ে বাকি সব জেলায় বিক্ষিপ্ত হালকা মাঝারি বৃষ্টির পূর্বাভাস।
আগামিকাল শুক্রবার উত্তরে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি হবে। দক্ষিণের প্রায় সমস্ত জেলায় বিক্ষিপ্তভাবে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি। বীরভূম পশ্চিম বর্ধমান বাঁকুড়া এবং ঝাড়গ্রাম জেলায় অনেকটা অংশ জুড়ে বৃষ্টি হবে। কলকাতা সহ গাঙ্গেয় দক্ষিণের কিছু জেলা এই তালিকা থেকে বাদ।
শনিবার ১৫ তারিখ উত্তরে উপরের ৫ জেলা সহ সমস্ত জেলায় কখনও ভারী কখনও অতি ভারী বৃষ্টি। দক্ষিণের মুর্শিদাবাদ বীরভূম পশ্চিম বর্ধমান সহ কিছু জেলায় হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সঙ্গে দমকা হাওয়া।
১৩,১৪,১৫ তারিখ পশ্চিমের ৩ জেলা, পশ্চিম বর্ধমান, পশ্চিম মেদিনীপুর এবং পুরুলিয়া জেলায় তীব্র তাপপ্রবাহের সতর্কতা থাকছে । ঝাড়গ্রাম এবং বাঁকুড়া জেলায় মৃদু তাপপ্রবাহের সতর্কতা। বাকি জেলায় চূড়ান্ত আর্দ্র এবং ঘর্মাক্ত আবহাওয়া। এর মধ্যে ১৫ তারিখ ঝাড়গ্রাম, মুর্শিদাবাদ, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, দুই মেদিনীপুরের কিছু অংশে বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি এবং ৩০ কিলোমিটার বেগে দমকা হাওয়া। ১৫ এবং ১৬ তারিখ দক্ষিণের সব জেলায় বজ্র বিদ্যুৎ সহ বৃষ্টি এবং দমকা হাওয়ার পূর্বাভাস। সেদিন রাজ্যে কোথাও তাপপ্রবাহ থাকছে না।
আজ এবং ১৪ তারিখ তেমন উল্লেখযোগ্য বৃষ্টি পাবে না কলকাতা। ১৫ তারিখ খুব সামান্য বৃষ্টি পেতে পারে। ১৬, ১৭ এবং ১৮ কিছুটা আশানুরূপ বৃষ্টি পাবে কলকাতা। মৌসুমী বায়ু নিয়ে দিল্লির মৌসম ভবন আজ বিকেলে কিছু আপডেট দিতে পারে। আরও বিস্তারিত শুক্রবার ১৪ তারিখের আগে পাওয়া যাবে না বলেই জানাচ্ছে হাওয়া অফিস।
কোথায় আটকে মৌসুমী বায়ু?
৩১ মে থেকে আজ ১৩ জুন পর্যন্ত একই জায়গায় অনড় মৌসুমী অক্ষরেখা। আগামী ২০ জুন মৌসুমী অক্ষরেখা কিছুটা দক্ষিণের দিকে সরতে চলেছে বলে এখনও পর্যন্ত প্রাপ্ত উপগ্রহ চিত্রে প্রকাশ। অন্যদিকে বঙ্গোপসাগর থেকে দক্ষিণ পশ্চিম মৌসুমী বায়ু ১৮ তারিখের পর পশ্চিমবঙ্গের উপকূল হয়ে সমতলের দিকে কিছুটা এগোতে পারে।
এই মুহূর্তে মৌসুমী অক্ষরেখা মহারাষ্ট্রের নাসিক থেকে নিজামাবাদ সুকমা মালকানগিরি হয়ে সিকিম ঘুরে আসাম পর্যন্ত বিস্তৃত। পশ্চিমবঙ্গের উত্তর দিনাজপুরের ইসলামপুরের ওপর এটির অবস্থান। এই অক্ষরেখার একটি খন্ডিত অংশ পশ্চিম বিহার থেকে উত্তরবঙ্গের ওপর দিয়ে নাগাল্যান্ড পর্যন্ত গেছে। এই জোড়া অক্ষরেখার যোগফলে উত্তরবঙ্গে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি হচ্ছে।
মধ্য আরব সাগরের প্রায় গোটাটাই এই মুহূর্তে মৌসুমী বায়ুর গ্রাসে। গুজরাট এবং মহারাষ্ট্রের প্রায় পুরোটাই এই মুহূর্তে মৌসুমী বায়ু দ্বারা বেষ্টিত।