পাকিস্তানের বিরুদ্ধে একটা সময় মনে হচ্ছিল, ১১০ রানের আগেই গুটিয়ে যাবে ভারত। কোনও রকমে রান ১১৯ পর্যন্ত নিয়ে যায় তারা। তাতে বড় অবদান রয়েছে মহম্মদ সিরাজের। ১১ নম্বরে ব্যাট করতে নেমে সাত বলে ৭ রান করেন তিনি। ভারত শেষ পর্যন্ত জেতে ৬ রানে। ব্যাট করতে নেমে কী ভাবছিলেন, তা জানিয়েছেন ভারতীয় পেসার। আগে থেকেই তৈরি ছিলেন তিনি।
সাত বলের মধ্যে তিনটি বলে দু’রান করে নেন তিনি। একটি বলে নেন এক রান। ১৯তম ওভারের শেষ বলে আরশদীপ সিংহ রান আউট না হলে আরও ছ’টি বল সিরাজ পেতেন। হয়তো দলের রান ১২৫ পার করতে পারতেন তিনি।
সিরাজ জানিয়েছেন, তিনি জানতেন, এই ধরনের পরিস্থিতি হতে পারে। তাই আগে থেকেই নিজেকে তৈরি করছিলেন। ভারতীয় পেসার বলেন, “আমি নেটে অনেক ক্ষণ ব্যাটিং অনুশীলন করি। আইপিএলের সময়ও করতাম। কারণ, টি-টোয়েন্টি সব সময় শেষ দিকে কয়েক রান ম্যাচের ফয়সালা করে। প্রয়োজন পড়লে যাতে কিছু রান করতে পারি তার জন্য নিজেকে তৈরি রাখি। পাকিস্তানের বিরুদ্ধেও রেখেছিলাম। ম্যাচের শেষে বোঝা গেল, আমার করা সাত রান কতটা গুরুত্বপূর্ণ ছিল। ”
তিনি যখন মাঠে নামেন, তখন ভারতকে চেপে ধরেছে পাকিস্তান। কিন্তু সিরাজ একটা লক্ষ্য নিয়েই এগোচ্ছিলেন। তিনি বলেন, “আমার লক্ষ্য ছিল, কোনও রকমে দলের রান ১২০ পার করাতে হবে। কারণ, টি-টোয়েন্টিতে ১২০-র বেশি রান হলে ওভারে ৬ রানের বেশি লক্ষ্য থাকে। অন্তত সেটুকু চাপ পাকিস্তানের উপর ফিরিয়ে দিতে চেয়েছিলাম।”
সিরাজের ভাবনা ভুল ছিল না। ১২০ রান তাড়া করতে নেমে চাপে পড়ে পাকিস্তান। অনেক বেশি ডট বল খেলার খেসারত দিতে হয় তাদের। শেষ দিকে পর পর উইকেট পড়তে থাকে। শেষ পর্যন্ত ৬ রানে জেতে ভারত।