৭২ জন সদস্যকে নিয়ে সোমবার বিকেলে মন্ত্রিসভার প্রথম বৈঠকে বসছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বিজেপি সূত্রে খবর, সোমবার বিকেল পাঁচটার মধ্যে নতুন মন্ত্রিসভার সকল সদস্যকে বৈঠকে হাজির হতে বলা হয়েছে। এই বৈঠক হবে দিল্লির লোক কল্যাণ মার্গে মোদীর বাসভবনে।
প্রধানমন্ত্রী হিসাবে তৃতীয় বার শপথগ্রহণের আগে রবিবার সকালে নিজের বাসভবনেই একটি চা-চক্রের আয়োজন করেছিলেন মোদী। বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছিল, সেখানে যাওয়ার জন্য আগের দিন রাতে ফোন করে করে ডাকা হয়েছে একাধিক নেতাকে। মনে করা হয়েছিল, যাঁরা ওই চা-চক্রে ডাক পেয়েছেন, তাঁরাই মন্ত্রিসভার সম্ভাব্য সদস্য। রবিবার সন্ধ্যায় তাঁদেরই দেখা গেল মোদীর সঙ্গে শপথগ্রহণ করতে। রাষ্ট্রপতি ভবনে মোদী ছাড়াও রবিবার সন্ধ্যায় পূর্ণমন্ত্রী হিসাবে শপথ নিয়েছেন ৩০ জন এবং প্রতিমন্ত্রী হিসাবে শপথ নিয়েছেন ৪১ জন।
৭২ জন মন্ত্রী শপথগ্রহণ করলেও এখনও তাঁদের মধ্যে দফতর বণ্টন করা হয়নি। কে কোন মন্ত্রকে দায়িত্ব পাবেন, এখনও স্পষ্ট নয়। অনেকের মতে, সোমবার বিকেলে প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে ডাকা বৈঠকে মন্ত্রীদের মধ্যে দফতর বণ্টন নিয়ে আলোচনা এবং সিদ্ধান্ত হতে পারে।
বাংলা থেকে মোদীর এই তৃতীয় মন্ত্রিসভায় দু’জন ডাক পেয়েছেন। বনগাঁর সাংসদ তথা মতুয়া সঙ্ঘাধিপতি শান্তনু ঠাকুর এর আগে জাহাজ প্রতিমন্ত্রী ছিলেন। এই মন্ত্রিসভায় তাঁকে কোন দায়িত্ব দেওয়া হয়, সে দিকে নজর থাকবে। পাশাপাশি, মোদীর মন্ত্রিসভায় বাংলা থেকে নতুন সদস্য হয়েছেন পশ্চিমবঙ্গ বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তিনি রবিবারই জানিয়েছেন, তাঁকে এবং শান্তনুকে প্রতিমন্ত্রী হিসাবে দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে। শপথগ্রহণের পর দফতর জানিয়ে দেওয়া হবে।
মোদীর এই মন্ত্রিসভায় জায়গা পেয়েছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নড্ডা। তিনি রবিবার মন্ত্রী হিসাবে শপথও নিয়েছেন। তাঁর মন্ত্রিত্ব লাভের ফলে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতির পদটি খালি হতে চলেছে। সেখানে এর পর কে দায়িত্ব পান, সেটাও দেখার। বিজেপি সূত্রে খবর, সোমবার রাতে ভোজের আয়োজন করেছেন নড্ডা। নতুন মন্ত্রিসভার সদস্যেরা মোদীর বাসভবন থেকে বৈঠক সেরে তাঁর বাড়িতে চলে যাবেন। সেখানেই নৈশভোজ হবে।