পশ্চিম বর্ধমানের আসানসোলের রানিগঞ্জে একটি সোনার দোকানে ডাকাতি। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গেলে পুলিশের সঙ্গে গুলির লড়াই চলে ডাকাতদের। একটি গাড়ি-সহ বিভিন্ন জায়গায় গুলির খোল পড়ে থাকতে দেখা যায়। এই ঘটনায় আতঙ্কিত সাধারণ বাসিন্দারা। ডিসি সেন্ট্রাল ধ্রুব দাস জানিয়েছেন, ডাকাতির খবর পেয়ে বাহিনী নিয়ে তিনি অকুস্থলের উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন।
বেলা তখন ১২টা বেজেছে। রানিগঞ্জে ‘সেনকো গোল্ড’ নামে একটি সোনার দোকানে বাইকে চড়ে কয়েক জন যুবক হাজির হন। সেই দোকানের এক নিরাপত্তারক্ষী জানাচ্ছেন, জনা আটেক লোক বাইক নিয়ে দোকানে উপস্থিত হয়। তার পর সটান দোকানে ঢুকে বন্দুক বার করে তাক করে। নিরাপত্তারক্ষীর রাইফেলও কেড়ে নেওয়া হয় বলে তাঁর দাবি। এর পর একটি থলিতে সোনার গয়না ভরতে শুরু করে ডাকাতরা। গয়না লুটের পর ডাকাতদল দোকান থেকে বেরোয়। তত ক্ষণে দোকানের কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছে পুলিশ। ডাকাতরা দোকান থেকে বেরোতেই পুলিশের সঙ্গে গুলির লড়াই শুরু হয়ে যায়। নিরাপত্তারক্ষীর দাবি, গুলি লেগেছে ডাকাতদের গায়ে। গুলিবৃষ্টির মধ্যেই বাইক নিয়ে গুলি ছুড়তে ছুড়তে পালিয়ে যায় ডাকাতেরা। পরে অবশ্য নিরাপত্তারক্ষীর রাইফেলটি উদ্ধার করা হয়।
প্রসঙ্গত, গত বছর পুরুলিয়া শহর এবং রানাঘাটে এই সংস্থারই দু’টি সোনার দোকানে কার্যত একই ভাবে ডাকাতির ঘটনা ঘটে। বছর ঘুরতেই এ বার একই ঘটনা রানিগঞ্জে। গত বছর পুলিশ তদন্তে নেমে জানতে পেরেছিল বিহারের একটি ‘গ্যাং’ রয়েছেন এর পিছনে। তখন বিহারের বাসিন্দা বেশ কয়েক জনকে গ্রেফতারও করেছিল পুলিশ। যদিও আবার কার্যত একই ভাবে ডাকাতির ঘটনা ঘটে গেল রানিগঞ্জে। তবে, ঠিক কত টাকার গয়না খোয়া গিয়েছে তা এখনও জানা যায়নি।