বর্ণাঢ্য শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান হবে তৃতীয় এনডিএ সরকার গঠনে। তার জন্য প্রস্তুতি তুঙ্গে। এখন দিল্লিতে জোর কদমে চলছে শেষ লগ্নের সাজগোজ। রবিবার সন্ধ্যায় জহরলাল নেহেরুর পরে দেশের দ্বিতীয় প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তৃতীয় দফার জন্য শপথ নেবেন নরেন্দ্র মোদী। এই শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত অতিথি তালিকায় রয়েছে বড়সড় চমক।
মোদীর শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে অতিথির আমন্ত্রিতের তালিকা ক্রমশ্যই লম্বা হচ্ছে। শোনা যাচ্ছে প্রায় সাত হাজারের বেশি অতিথিদের আগমন হতে পারে। সেই তালিকায় যেমন রয়েছেন শীর্ষ রাজনৈতিক নেতা, বিদেশী রাষ্ট্রনায়ক, তেমনি রয়েছে নির্মাণ কর্মী, সাফাই কর্মী বা প্রধানমন্ত্রীর মন কি বাত অনুষ্ঠানের অংশগ্রহণকারীরা।
রাষ্ট্রপতি ভবনের উদ্যানে শপথ নিতে চলেছেন নরেন্দ্র মোদী। তার সঙ্গে শপথ নেবেন একাধিক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। কারা মোদীর সঙ্গে রবিবার শপথ নেবেন তা নিয়ে জল্পনা এখন তুঙ্গে।
ইতিমধ্যে দিল্লি ও সংলগ্ন এলাকাকে কড়া নিরাপত্তায় মুড়ে ফেলা হয়েছে। দিল্লি পুলিশ কড়া নিরাপত্তা জারি করা হয়েছে রাষ্ট্রপতি ভবনের চারিদিকে। দিল্লির আকাশকে নো ফ্লাই জোন ঘোষণা করা হয়েছে। আমন্ত্রিত বিদেশি গণ্যমান্যদের মধ্যে রয়েছেন শ্রীলঙ্কার রাষ্ট্রপতি, মালদ্বীপের রাষ্ট্রপতি, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, মরিশাসের প্রধানমন্ত্রী, নেপালের প্রধানমন্ত্রী, ভুটানের প্রধানমন্ত্রী। এই তালিকা থেকে পরিষ্কার যে, শুরু থেকে প্রতিবেশীদের সঙ্গে সু- সম্পর্ক বজায় রাখতে চাইছে তৃতীয় মোদী সরকার। বিশেষ করে ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলে চীনের দাপাদাপি আটকাতে এখন থেকে পাখির চোখ করেছে নয়া দিল্লি। যদিও মোদীর শপথ গ্রহণে বরাবরই প্রতিবেশীদের গুরুত্ব দিয়েছে বিজেপি। ২০১৪ সালের সার্ক গোষ্ঠীভুক্ত দেশগুলিকে আমন্ত্রণ জানিয়েছে নয়া দিল্লি। সেই সময় তৎকালীন পাক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফও এসেছিলেন।
তবে আমন্ত্রিতদের তালিকায় বড় চমক হল নয়া দিল্লিতে নবনির্মিত সেন্ট্রাল ভিস্তা প্রকল্পের নির্মাণ কর্মী ও সাফাই কর্মীদের রাখা হয়েছে। এছাড়া বন্দে ভারত এক্সপ্রেস- এ কর্মরত রেল কর্মীদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। মোদীর মন কি বাত অনুষ্ঠানের শ্রোতাদের মধ্যে থেকে নির্বাচিত কয়েকজনকে ডাকা হয়েছে। এছাড়াও পদ্মভূষণ বিজয়ীদের ডাকা হয়েছে। ৩০ থেকে ৪০ জন ধর্মীয় সংগঠনের প্রধান সন্ন্যাসী, রাম মন্দিরের সঙ্গে জড়িত সাধুসন্ত ও চলচ্চিত্র ক্রীড়া জগতের একাধিক প্রথম সারির ব্যক্তিত্ব উপস্থিত থাকতে চলেছেন এই অনুষ্ঠানে।
তবে তৃতীয়বারের জন্য মোদী প্রধানমন্ত্রী হলেও এবার একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি বিজেপি। যার ফলে শরীকদের ওপর নির্ভর করতে হচ্ছে তাদের, যা নিয়ে ইতিমধ্যে নিশানা করেছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেছেন, এই সরকার বেশি দিন টিকবে না।