ওড়িশার প্রথম বিজেপি মুখ্যমন্ত্রী কে? তালিকায় ছয়! শেষ পর্যন্ত কার দখলে ভুবনেশ্বরের কুর্সি?

ওড়িশা বিধানসভা ভোটে বিপুল জয়ের পরে কে হবেন মুখ্যমন্ত্রী? ফলঘোষণার চার দিন পরেও চূড়ান্ত করতে পারেনি বিজেপি। দলীয় সূত্রের খবর, এই নিয়ে এখনও চিন্তাভাবনা চলছে দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের মধ্যে। মুখ্যমন্ত্রীর নাম নির্ধারণ করতে শুক্রবার তিন রাজ্যে পর্যবেক্ষক নিয়োগ করতে চলেছেন বিজেপির শীর্ষনেতৃত্ব।

ওড়িশায় জোড়া ভোটে এ বার চমকপ্রদ জয় পেয়েছে বিজেপি। সে রাজ্যের ২১টি লোকসভা আসনের মধ্যে ১৯টি তাদের ঝুলিতে। নবীন পট্টনায়েকের বিজেডি এবং কংগ্রেস একটি করে আসনে জিতেছে। পাশাপাশি, ১৪৭ আসনের ওড়িশা বিধানসভায় ৭৮টিতে জিতে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছে পদ্ম। বিজেডি ৫১ এবং কংগ্রেস ১৪টিতে জিতেছে। অন্যেরা চারটিতে। এই পরিস্থিতিতে মুখ্যমন্ত্রী পদে অন্তত ছ’টি নাম নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে বিজেপির অন্দরে।

জল্পনার কেন্দ্রে রয়েছে নরেন্দ্র মোদী-অমিত শাহদের ‘ঘনিষ্ঠ’ হিসাবে পরিচিত প্রাক্তন আমলা গিরীশচন্দ্র মুর্মুর নাম। ১৯৮৫ ব্যাচের গুজরাত ক্যাডারের এই আমলা অবসরের পরে বর্তমানে দেশের কম্পট্রোলার অ্যান্ড অডিটর জেনারেল (সিএজি)। মোদী গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন তাঁর দফতরের প্রিন্সিপ্যাল সেক্রেটারি ছিলেন মুর্মু। সত্যপাল মালিক জম্মু ও কাশ্মীরের লেফটেন্যান্ট গভর্নর পদ থেকে ইস্তফা দেওয়া পরে মুর্মুকে সেই পদে বসিয়েছিলেন মোদী-শাহেরা।

প্রধানমন্ত্রী মোদী ওড়িশায় এ বার ভোটের প্রচারে গিয়ে নবীনের ওড়িয়া ভাষা রপ্ত না হওয়া নিয়ে কটাক্ষ করেছিলেন। সেই সঙ্গে বিজেডি প্রধানের ‘সম্ভাব্য রাজনৈতিক উত্তরসূরি’ হিসাবে জন্মসূত্রে তামিল প্রাক্তন আইএএ কার্তিক পান্ডিয়ানের নাম নিয়ে জল্পনা উস্কে মোদী বলেছিলেন, ‘‘এ বার ওড়িশায় ক্ষমতায় এলে বিজেপি এমন কোনও ভূমিপুত্র বা ভূমিকন্যাকে মুখ্যমন্ত্রী করবে, যিনি ওড়িয়া ভাষা জানেন। যিনি ওড়িশার সংস্কৃতির সঙ্গে পরিচিত।’’ আদতে ময়ূরভঞ্জের মানুষ হলেও মুর্মু আদতে জনজাতি জনগোষ্ঠীর প্রতিনিধি। ওড়িয়া নন।

মুর্মু ছাড়াও মুখ্যমন্ত্রিত্বের দাবিদার হিসাবে আলোচনায় উঠে আসছে সদ্য প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান, জুয়েল ওরাওঁ এবং বিজেপির কেন্দ্রীয় মুখপাত্র সম্বিত পাত্রের নাম। ওড়িশা রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভোটব্যাঙ্ক হিসাবে পরিচিত ‘পিডিএস (পণ্ডা-দেও-সারঙ্গি) ফ্যাক্টর’-এর কতা মাথায় রেখে নবীনের প্রাক্তন সহকারী বৈজয়ন্ত (জয়) পণ্ডার নামও বিজেপি হাইকমান্ডের বিবেচনায় রয়েছে বলে ‘খবর’। এ ছাড়া রয়েছে ওড়িশা বিজেপির প্রাক্তন সভাপতি কেভি সিংহদেওর নাম। তিনি ১৯৯৫ থেকে টানা পাঁচ বার বোলাঙ্গিরের পটনাগড় কেন্দ্রের বিধায়ক।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.