আরিয়ান খান মাদককাণ্ডের সময় বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অভিযোগ এনেছিলেন শাহরুখ খান ভক্তরা! শুধু তাই নয়, জওয়ান ছবিতে যখন কিং খান বুক ঠুকে আমজনতাকে মরচে ধরা সিস্টেমের খলনলচে বদলানোর জন্য সরকার নির্বাচনের পাঠ দিয়েছিলেন, তখনও রাজনৈতিকমহলে দড়ি টানাটানি পড়েছিল! কংগ্রেস-বিজেপি একে-অপরের দিকে দুর্নীতির অভিযোগে আঙুল তুলেছিল। আর এবার লোকসভা ভোট মিটতেই জানা গেল, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফে নাকি বিশেষ ছাড়পত্র পেয়েছেন শাহরুখ খান (Shah Rukh Khan)।
কোন বিশেষ সুবিধে পেলেন কিং খান বিজেপির তরফে? জানা গিয়েছে, বাদশার মীর ফাউন্ডেশনকে (Meer Foundation) স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফে ফরেন কন্ট্রিবিউশন রেগুলেশন অ্যাক্ট লাইসেন্স বা FCRA লাইসেন্স দেওয়া হয়েছে। যার ফলে এরপর বিদেশ থেকেও নিজস্ব স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার জন্য অনুদান নিতে পারবেন শাহরুখ। এদিন জানা গিয়েছে, মাসখানেক আগেই নাকি এই ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে বাদশার মীর ফাউন্ডেশনকে। তবে বৃহস্পতিবার এই খবর প্রকাশ্যে আসে। কিন্তু কবে এই লাইসেন্স পেয়েছেন শাহরুখ? সেই উত্তর যদিও অজানা।
২০১৩ সালে বাবার নামে মীর ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠিত করেন বাদশা। সেই থেকে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে শুরু করে শহুরে অ্যাসিড অ্যাটাক সারভাইভারদের পাশে থেকেছেন তিনি। এবার সেই সংস্থাকেই বিদেশ থেকে অনুদান জোগাড়ের ছাড়পত্র দিল দেসের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। যার মেয়াদ থাকবে আগামী ৫ বছর পর্যন্ত।
এপ্রসঙ্গে উল্লেখ্য, ২০২০ সালের পর থেকে কেন্দ্রীয় সরকার বেশি কড়াকড়ি করেছে এই লাইসেন্স দেওয়ার বিষয় নিয়ে। এমনকী গত কয়েক বছরে নিয়ম ভাঙার কারণ দেখিয়ে একাধিক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা- যেমন রাজীব গান্ধী চ্যারিটেবল ট্রাস্ট, সেন্টার ফর পলিসি রিসার্চ, রাজীব গান্ধী ফাউন্ডেশনের লাইসেন্স বাতিল করে দেওয়া হয়েছে। FCRA অ্যাক্ট ২০২০ সালের সেপ্টেম্বরে বদল করা হয়েছে। এবং প্রতিটি সংস্থার ক্ষেত্রে আধার কার্ডকে বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। এর আগে মেরি কমের রিজিওনাল বক্সিং ফাউন্ডেশনও এই লাইসেন্স পেয়েছে। চলতি বছর এখনও পর্যন্ত