২৪- এর নির্বাচনী ফলাফলে তৃণমূলের রেকর্ড জয়লাভের পরেও দলীয় কোন্দল মেটার কোনো লক্ষণ নেই। নির্বাচনের ফল ঘোষণা হতেই তৃণমূল কর্মীদের মধ্যে লাঠালাঠি। মাথা ফাটলো তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য থেকে শুরু করে অপর এক তৃণমূল কর্মীর। উভয় পক্ষই পুলিশের দ্বারস্থ। অঞ্চল সভাপতি বনাম অঞ্চল যুব সভাপতির দুই গোষ্ঠীর দ্বন্দ্বে তপ্ত এলাকা। ঘটনাটি ঘটেছে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার চন্দ্রকোনা ১ নম্বর ব্লকের লক্ষ্মীপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের বামুনিয়া এলাকায়।
জানাযায়, গতকাল লোকসভা নির্বাচনের ফল ঘোষণা হয়েছে। আরামবাগ লোকসভা কেন্দ্রে জয়লাভ করেছে তৃণমূল প্রার্থী। কিন্তু পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার চন্দ্রকোনা বিধানসভার বামুনিয়া বুথে তৃণমূল ফলাফলে পিছিয়ে ছিল। বুথে তৃণমূলের ফল খারাপ নিয়ে শুরু হয় তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে লাঠালাঠি। উভয় পক্ষেরই ধারণা দলের অর্ন্তঘাতের ফলে তৃণমূলের ফল খারাপ হয়েছে এই বুথে। এই নিয়ে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে মারামারি শুরু হয়।
এলাকার তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্যা মালতি পানের অভিযোগ, কিছু তৃণমূল কর্মী যারা পঞ্চায়েত ভোটে নির্দল হয়ে তাকে হারানোর চেষ্ঠা করেছিল তারাই অঞ্চল সভাপতির মদতে ছড়ি ঘোরাচ্ছে এবং দলের পঞ্চায়েত সদস্যাকে হেনস্থা করে চলেছে। আহত পঞ্চায়েত সদস্যার অভিযোগ, বুথ সভাপতি ও অঞ্চল সভাপতির মদতে আজ তার বাড়িতে চড়াও হয়ে মারধর করা হয়। পঞ্চায়েত সদস্যার পাশে দাঁড়িয়ে দলের অঞ্চল সভাপতির বিরুদ্ধেই ঘটনার দায় চাপিয়েছেন অঞ্চলের যুব সভাপতি।
অঞ্চল সভাপতির ঘনিষ্ট ওই বুথের তৃণমূল কর্মী আহত শম্ভু বাগের পাল্টা অভিযোগ, পঞ্চায়েত সদস্য ও অঞ্চল যুব সভাপতি বিজেপিকে মদত দিচ্ছে, তাই এই বুথে ফল খারাপ হয়েছে। এই নিয়ে উভয়পক্ষ উভয় পক্ষের উপর লাঠি নিয়ে চড়াও হয়। যদিও অঞ্চল তৃণমূল সভাপতি বলেন, নিজেদের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝি হয়েছিল, সমস্যার সমাধান হয়ে গেছে। ঘটনায় উভয়পক্ষই পুলিশের দ্বারস্থ হলেও কোনো তরফে লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়নি।