বুথফেরত সমীক্ষার ফল ভুল প্রমাণিত করে রাজ্যে ঝড় তুলেছে তৃণমূল। রাজ্যের ৪২টি আসনের মধ্যে ২৯টি আসনে এগিয়ে রয়েছে তারা। এই ২৯টির মধ্যে ইতিমধ্যেই ২৩টিতে জয়লাভ করেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল। ভোটের শুরু থেকে সকলের নজরে ছিল বসিরহাট লোকসভা কেন্দ্রে। সেখানে বিপুল ভোটে জয়লাভ করেছেন তৃণমূল প্রার্থী নুরুল ইসলাম। তিন লক্ষ ৩৩ হাজার ৫৪৭ ভোটে তিনি হারিয়েছেন বিজেপি প্রার্থী রেখা পাত্রকে। নুরুলের প্রাপ্ত ভোট আট লক্ষ তিন হাজার ৭৬২। রেখার প্রাপ্ত ভোট চার লক্ষ ৭০ হাজার ২১৫। বিজেপির এই ক্ষতে মলম লাগিয়েছে বসিরহাট লোকসভা কেন্দ্রে সন্দেশখালি বিধানসভা। সন্দেশখালিতে আপাতত আট হাজার ৩৮৭ ভোটে এগিয়ে রয়েছে বিজেপি প্রার্থী।
ভোট ঘোষণার আগে থেকেই নজরে ছিল চাষের জমি দখল, মাছের ভেড়ি হরফ করা, জমিতে নোনা জল ঢুকিয়ে দেওয়া, মধ্যরাতে পিঠে বানানোর আমন্ত্রণর মতো নানা বিষয়। তার উপর নারী নির্যাতনের অভিযোগ, মহিলাদের বিক্ষোভ, বিজেপির অভিযান, সিপিএমের জেগে ওঠা, ইডির উপর হানাও রয়েছে। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে বিতর্কিত শিবু হাজরা, উত্তম সর্দার, সিবিআই তদন্ত, রাজীব কুমার, শেখ শাহজাহান, এনআইএর অভিযান, অস্ত্র উদ্ধার। যার একেবারে শেষে রেখা পাত্র। সন্দেশখালিতে নির্যাতনের অভিযোগ তোলা বধূকে লোকসভা ভোটে প্রার্থী করে ‘কিস্তিমাত’ করতে চেয়েছিল বিজেপি। এর পরে এসেছে সন্দেশখালির ‘চক্রান্ত’ ফাঁস করার ‘স্টিং ভিডিয়ো’। ফলে বসিরহাটে ভোটের বাজার আরও চনমনে ছিল।
অঙ্কের হিসাবে নুরুলের লড়াই সহজ। গত লোকসভা ভোটে সাতটি বিধানসভাতেই বড় ব্যবধানে এগিয়ে ছিল তৃণমূল। পরে নীলবাড়ির লড়াইয়েও সাতটিই দখল করেছিল। সন্দেশখালিতে ইস্যুতে বিজেপি সুর চড়ালেও বসিরহাট লোকসভায় নিজের মাটি শক্ত করতে পারল না বিজেপি। শুধু সন্দেশখালি বিধানসভায় এগিয়ে থেকেই সন্তুষ্ট থাকতে হতে পারে তাদের।