৬ তারিখ যুবভারতীতে সুনীল ছেত্রীর (Sunil Chhetri) ফেয়ারওয়েল ম্যাচ। সেই ম্যাচের আগে ভারতীয় দলের লেফট ব্যাক শুভাশিস বসু (Subhasish Bose) রীতিমতো ফুটছেন।
জীবনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ খেলতে নামছেন শুভাশিস। কেরিয়ারের শেষ স্টেশনে পৌঁছে গিয়েছেন ভারত অধিনায়ক সুনীল ছেত্রী।
বিশ্বকাপের যোগ্যতা অর্জন পর্বে ভারতের সামনে কুয়েত। দেশজুড়ে আবেগের ফল্গুধারা। ভারত অধিনায়ক শেষ হাসি হাসুন, এমনটাই চাইছেন ভক্ত-অনুরাগীরা। তাঁর সতীর্থরাও সুনীলের শেষ ম্যাচ রাঙিয়ে দিতে চান। শুভাশিস বলছেন, ”কুয়েতের বিরুদ্ধে ম্যাচটা আমাদের কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ভারতীয় ফুটবলে সোনালি ইতিহাস তৈরি করার বড় সুযোগ। বিশ্বকাপের যোগ্যতা অর্জন পর্বে ভারত কোনওদিন তৃতীয় রাউন্ডে পৌঁছয়নি। কুয়েতের বিরুদ্ধে জয় আমাদের ২০২৭ সালের এশিয়ান কাপের মূলপর্বে পৌঁছে দেবে।”
দেশের জার্সিতে বহু যুদ্ধের ঘোড়া সুনীল ছেত্রী। শুভাশিস বসুও ২০১৯ ও ২০২৩ সালের এশিয়ান কাপের মূলপর্বে খেলার অভিজ্ঞতা রয়েছে। ভারতীয় দল কি বিশ্বকাপ যোগ্যতাপর্বের পরবর্তী রাউন্ডে পৌঁছতে পারবে? শুভাশিস বলছেন, ”স্বাভাবিকের থেকেও মোটিভেশন লেভেল বেশি ছেলেদের। সবাই জানেন এটাই সুনীল ভাইয়ের ফেয়ারওয়েল ম্যাচ। ম্যাচটাকে স্মরণীয় করে রাখাই আমাদের লক্ষ্য। ম্যাচটা জিতে সুনীল ভাইকে উপহার দিতে চাই।”
সুনীল ছেত্রী তরুণ ফুটবলার, উঠতি ফুটবলারদের কাছে রোল মডেল, অনুপ্রেরণাও বটে। শুভাশিস বলছেন, ”এই ম্যাচটা স্পেশাল। এটা ভারতেরও ম্যাচ। আমরা সবাই দেশের জন্য খেলব। ভারতের জয়ের জন্য আমরা নিজেদের নিংড়ে দেব। ম্যাচটা জিতে ১৪০ কোটি ভারতবাসীর মুখে হাসি ফোটাতে চাই।”
সুনীল ছেত্রী বুট জোড়া তুলে রাখলে শূন্যতা তৈরি হবে ভারতীয় ফুটবলে। শুভাশিস বলছেন, ”আমাদের দলে প্রতিভাবান স্ট্রাইকার রয়েছে অনেকে। ছাংতে, মনবীর, রহিম আলির মতো স্ট্রাইকার রয়েছে। ওরা খুবই ভালো, খেলার সুযোগ পেলে সেরাটা তুলে ধরবে ওরা। সুনীল ভাইয়ের অনুপস্থিতি সত্যি সত্যি বিরাট শূন্যতা তৈরি করবে। আমাদের সবাইকে ভাইয়ের মতো গাইড করে, পরামর্শ দেয়। আমরা সুনীল ভাইয়ের থেকে অনেক কিছু শিখেছি। তবে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে অনেক কিছু বদলেও যায়। বর্তমান ভারতীয় দলে এমন কয়েকজন ফুটবলার রয়েছে, যাদের মধ্যে নেতৃত্ব দেওয়ার ক্ষমতা রয়েছে।”
কুয়েত ম্যাচের জন্য ইগর স্টিমাচের দল দীর্ঘ প্রস্তুতি ক্যাম্প করেছে। ম্যাচের পরিস্থিতির সঙ্গে নিজেদের মানিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেছে। দলের রসায়ন তৈরি করা হয়েছে। গত বছরের নভেম্বরে কুয়েতকে হারিয়েছে ভারতীয় দল। তার জন্য ফিরতি লড়াইয়ের আগে ভারত যে আত্মবিশ্বাসী, তা নয়। শুভাশিস বলছেন, ”কুয়েতের বিরুদ্ধে আগের ম্যাচে জিতেছি বলে যে এই ম্যাচে আমরা আত্মবিশ্বাসী তা বলছি না। তবে গত সাক্ষাতের তিনটি পয়েন্ট আমাদের উৎসাহিত করছে। তিন সপ্তাহ সময় পেয়েছি প্রস্তুতির। কাতার ও আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে আমরা ভালো করতে পারিনি। ঘরোয়া খেলা থাকায় ভালো করে আমরা প্রস্তুতি নিতে পারিনি। দীর্ঘমেয়াদি ক্যাম্প আমাদের ভালো করতে আত্মবিশ্বাস জোগাবে। ঘরের মাঠে আমরা খেলতে নামব। কলকাতার দর্শক দারুণ। গোটা ৯০ মিনিট আমাদের অনুপ্রাণিত করবে যুবভারতীর দর্শকরা।”