ভোটের আগের রাত থেকেই বার বার অশান্ত হয়ে উঠেছে ভাঙড়। ভোটের দিন ভাঙড়ের একাধিক জায়গায় তৃণমূল-আইএসএফ সংঘর্ষের ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছিল। তবে ভোটপর্ব মিটলেও অশান্তির কথা মাথা রেখে ভাঙড়ে ২৮ কোম্পানি বাহিনী রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কলকাতা পুলিশ।
মঙ্গলবার ভোটগণনা। ভোটগ্রহণ পর্ব মেটার পর থেকে রাজ্যে একাধিক জায়গা অশান্ত হয়েছে। ফলপ্রকাশের পর অশান্তি এড়াতে বদ্ধপরিকর নির্বাচন কমিশন। সূত্রের খবর, ভোট মেটার পর ১৯ জুন পর্যন্ত রাজ্যে কিছু কেন্দ্রীয় বাহিনী রেখে দেওয়া হতে পারে। একই সঙ্গে পুলিশকেও তৎপর হতে বলা হয়েছে। লালবাজার সূত্রে খবর, কলকাতা পুলিশ এলাকায় প্রায় চার হাজার পুলিশ থাকবে।
কলকাতা পুলিশের অধীনে ১৪টি ভোট গণনাকেন্দ্র রয়েছে। তার মধ্যে রয়েছে হেস্টিংস বা নেতাজি ইনডোরের মতো বড় কেন্দ্রগুলিও। সূত্রের খবর, প্রতিটি গণনাকেন্দ্রে ১৫০-২০০ পুলিশ থাকবে। তাদের সঙ্গে এক কোম্পানি করে কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকবে গণনাকেন্দ্রের নিরাপত্তায়। তবে হেস্টিংস বা নেতাজি ইনডোরের মতো ভোটগণনা কেন্দ্রে ৩৫০-৪০০ করে পুলিশ থাকবে। একই সঙ্গে সেখানে মোতায়েন থাকবে দুই কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী।
কলকাতা পুলিশের বিশেষ নজর ভাঙড়ে। কলকাতা পুলিশ সূত্রে খবর, ইতিমধ্যেই সেখানকার ২০টি জায়গা চিহ্নিত করা হয়েছে। সেই সব জায়গায় ভোটগণনা এবং গণনা পরবর্তী সময়ে গোলমাল হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। উল্লেখ্য, ভোটের দিন এবং ভোট পরবর্তী অশান্তি নিয়ে তিনটি মামলা রুজু হয়েছে। অশান্তির ঘটনায় যুক্ত থাকার অভিযোগে এখনও পর্যন্ত আট জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
ভাঙড় যাদবপুর লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত। গত ১ জুন সেখানে ভোট ছিল। ভোটের দু’দিন আগেই তৃণমূল-আইএসএফ সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়েছিল ভাঙড়। তৃণমূল কর্মীদের লক্ষ্য করে বোমা মারার অভিযোগ উঠেছিল আইএসএফের বিরুদ্ধে। তাতে এক শিশু ও পঞ্চায়েত সদস্য-সহ ১০-১২ জন জখম হয়েছিলেন বলে দাবি। ভোটের দিনেও এর ব্যত্যয় হয়নি! ভাঙড় ২ ব্লকের সাতুলিয়ায় তৃণমূল-আইএসএফ সংঘর্ষ হয়েছে। ফুলবাড়িতেও অশান্তি হয়েছে। সোমবার ‘ভোট পরবর্তী হিংসা’র অভিযোগ উঠেছিল ভাঙড়ের উত্তর কাশীপুর থানার মাঝেরহাট এলাকায়।