রাজ্যের শেষ দফার ভোট মিটতে না মিটতেই নদিয়ায় খুন হলেন এক বিজেপিকর্মী। মৃত বিজেপি কর্মীর নাম হাফিজুল শেখ। অভিযোগ, দুষ্কৃতীরা পরপর দুটি গুলি করে তাঁকে খুন করার পরে নৃশংসভাবে হাফিজুলের মাথা কেটে নিয়ে চলে যায়।
সদ্যসমাপ্ত লোকসভা নির্বাচনের ঠিক আগে হাফিজুলের নেতৃত্বে এলাকার সংখ্যালঘুরা বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন। লোকসভা নির্বাচনের আবহে ওই এলাকায় বিজেপি বেশ ভালো ভাবে মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছিল বলেই মত প্রত্যক্ষদর্শীদের। আর তার পরিণাম হিসেবেই হাফিজুলকে খুন করা হয়েছে বলে দাবি বিজেপির।
ইতিমধ্যেই মৃত হাফিজুলের পরিবারের পক্ষ থেকে সিবিআই তদন্তর দাবি করা হয়েছে। একই সঙ্গে ঘটনায় জড়িত প্রায় ১০ থেকে ১১ জনের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তি দাবি করা হয়েছে। বিজেপি কর্মী হাফিজুলের খুনের ঘটনায় অভিযোগের তির রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের দিকে বলেই জানিয়েছেন নদিয়া উত্তর বিজেপির জেলা সভাপতি অর্জুন বিশ্বাস।
ভোটের পরেও শান্তি নেই। সপ্তম দফা নির্বাচন মিটতে না মিটতেই ব্যারাকপুর লোকসভা কেন্দ্রের নৈহাটি পুরসভা অঞ্চলের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কংগ্রেসের দলীয় কার্যালয়ের সামনে গভীর রাতে বোমাবাজির ঘটনা ঘটল। সিসিটিভি-তে দেখাও যাচ্ছে, তৃণমূল কার্যালয়ের সামনে বোমা ফাটল। নৈহাটি পুরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর রঞ্জন কর্মকার এই বোমাবাজির ঘটনায় বিরোধী দলকে নিশানা করলেন। শাসকদলের তরফে এমনও বলা হল, ২০১৯ -র প্রতিচ্ছবি দেখবে না নৈহাটি ও ব্যারাকপুরবাসী।