আমি কখনোই আতিশ তাসির নিয়ে বেশি কিছু ভাবিনি। তাঁর মতামতগুলো হৃদয়ে মর্মান্তিক যন্ত্রণাদায়ক আত্মা হিসাবে নিজেকে ধরে রেখেছে এবং তিনি অসহনীয় চাপের মধ্যে শ্রম দিলেও বিশ্বের অসাম্যের দ্বারা অত্যাচারিত এবং বেষ্টিত হয়েছে। ইউটোপিয়ার জগত ফিরে আসার জন্যে হতাশা এবং রাগের উৎপত্তি, তাঁর কথা বলার ফলে যে চাপ, তার ফলে সহনশীলতা এবং বহু বর্ণ, বহু-লিঙ্গ, বহু সংস্কৃতির আদর্শের দুনিয়ায় খারাপ সাদা মানুষরা এবং হিন্দু জাতীয়তাবাদীরা অন্ধকারে কোণঠাসা হয়ে অশ্রু বর্ষণ করে ‚ যাতে তাদের কেউ দেখতে না পায়।
আতিশ তাসির একইসঙ্গে ভারতীয় ও পাকিস্তানি আবার কোনোটাই নয়, হিন্দু বা মুসলমান কোনোটাই নয়, আবার উভয়ই; পশ্চিমে অভিবাসী একজন অশ্বেতাঙ্গ, প্রতিটি গণতন্ত্রের প্রতিটি পুরুষ ও মহিলা সমস্ত নারীবাদীদের স্বপ্ন‚ যেখানে বিশ্ববিদ্যালয়গুলি সামাজিক ন্যায়বিচার যোদ্ধাদের তৈরী করার নেতৃত্ব দেয়।
তিনি যা বিকৃত, অন্ধকারাচ্ছন্ন এবং পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে দুর্নীতিগ্রস্ত হয়ে ভুল প্রমাণিত হওয়া বামপন্থীদের বাহ্যিক প্রকাশ। যখন কয়লাখনি শ্রমিকরা অমানবিক পরিস্থিতিতে কষ্টকর জীবনযাপন করত এবং কারখানার মালিকরা তাদের শ্রমিকদের দমন করার জন্য পেশীশক্তি প্রয়োগ করত, যখন শিল্প বিপ্লব শেষ হয়ে গিয়েছিল এবং মুনাফার প্রয়োজনে মনুষ্যত্বকে বিসর্জন দেওয়া হয়েছিল, তখন বামপন্থীরা একটি অপরিহার্য শক্তি ছিল।
বর্তমানে, বামপন্থীদের উৎপত্তির শর্তাবলী ইউরোপ এবং উত্তর আমেরিকাতে খুঁজে পাওয়া যায় না। তার বেশিরভাগই দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধর সাথেই শেষ হয়ে গিয়েছিল।
বিশ্বযুদ্ধের পরবর্তী সমৃদ্ধ যুগে বামেরা শিল্প বিপ্লবের নিষ্পেষিত শ্রেণী থেকে জাতিগত সমতা, লিঙ্গ সমতা, সমকামী অধিকার, সংখ্যালঘুদের অধিকার ইত্যাদি দাবিতে সরে আসে । এবং ২০১০ সালের মধ্যে বামেরা সেই যুদ্ধগুলি জিতেও নেয় । বিদেশী বাবার এক কৃষ্ণাঙ্গ সন্তান বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী মানুষ হয়ে ওঠে। সমকামী বিবাহ বৈধতা পায় এবং সবাই বদ্ধ মন থেকে বেরিয়ে আসে।
তারপরে সব ওলটপালট হয়ে গেল। যাদের পক্ষে তারা লড়াই করেছিল তার বেশিরভাগ অংশে জয়লাভ করে, কিন্তু অত্যাচারীর দুষ্কৃত আচরণের বিরুদ্ধে স্ব-ধার্মিক ক্ষোভ ছাড়া আর কোনও মানসিক অবস্থাতেই থাকতে না পেরে সিদ্ধান্ত নিয়েছিল যে, তার ইতিহাস, সংস্কৃতি, বিশ্বে তাঁদের সম্মানের স্থান সহ খারাপ সাদা মানুষদের ধ্বংস না করা পর্যন্ত ন্যায়বিচার অর্জিত হবে না।
অভিবাসীদের নিয়ে আসা
ফলে মুসলমানদের নিয়ে আসা, বিশ্বের যে কোনও স্থান থেকে প্রতিটি অশ্বেতাঙ্গ ব্যক্তিকে যেকোনো ভাবেই হোক নিয়ে আসা, এগুলোই হয়ে ওঠে তাদের নীতি । তারপর তাদের দিয়ে পশ্চিমকে ভর্তি করো, সাদা মানুষদের সমাজ এবং তারা যে বিশ্ব সভ্যতা নির্মাণ করেছিল তাকে ধ্বংস করো।
বিদেশী সংস্কৃতির তলায় তাকে কবর দাও। সেই সংস্কৃতির তলায় যা পশ্চিমে আসা ছাড়া ‚এবং সাদা মানুষ দের থেকে যেকোনো প্রকারে অর্থ বা সুবিধা নেওয়া অন্য কোনো বিষয়ে কখনোই একমত হতে পারে না। আগত থাকার অনুমতি না দেওয়া এবং অর্থের যে কোনও সুযোগ গ্রহণ করার ব্যপারে কখনও নিজেদের মধ্যে কিছুতেই রাজি হবে না।
গণতন্ত্র বর্তমানে তাকে জন্ম দেওয়া সভ্যতাকেই ধ্বংস করার চূড়ান্ত অস্ত্রে পরিণত হয়েছে! কৌশলটি অত্যন্ত সহজ! এমন অনেক লোককে আমদানি করতে হবে যারা ভোট দিতে পারবে তবে তারা সাদা মানুষ দের সংস্কৃতি, ইতিহাস বা মূল্যবোধগুলিতে বিশ্বাস করে না এবং কেবল এর বিরুদ্ধ পক্ষের যেকোনো শক্তিকেই ভোট দেবে।
সাদা মানুষরা প্রধান শত্রু হলেও তারা কিন্তু একমাত্র শত্রু নয়। এখানে একটি শ্রেণিবিন্যাস আছে। সাদা পুরুষরা সাদা মহিলাদের চেয়ে খারাপ এবং অশ্বেতাঙ্গ মুসলিম পুরুষরা সাদা মহিলাদের সমান। মুসলিম নারীদের এখানে কোনো ভূমিকাই নেই যতক্ষণ না তারা সামাজিক ন্যায়বিচার, ইসলামফোবিয়া এবং বর্ণবাদ সম্পর্কে ক্ষিপ্ত হচ্ছে । তবে তাদের অবশ্যই অশ্বেতাঙ্গ হতে হবে। সাদা মুসলিম মহিলাদের কোথাও দেখা যায় না। সাদা পুরুষদের চেয়েও সবচেয়ে খারাপ হলো হিন্দু পুরুষরা, যারা কেবল পুরুষই নয়, তৃতীয় বিশ্বের নোংরা আবর্জনাও বটে। ইহুদীরা অবশ্যই সবচেয়ে খারাপ। তবে এটা আপনাকে জানিয়ে দেওয়া হবে ‚”না, সব ইহুদিরা নয় বরং জায়নবাদীরা খারাপ”! অবশ্যই, ইরানের মহিলা এবং বালুচিস্তানের শিশুরা আদৌ এর মধ্যে থাকবে না।
তারা ইতিমধ্যে ব্রিটেনকে ধ্বংস করতে সফল হয়েছে।বর্তমানে পরিস্থিতি এতটাই সঙ্গীন যে ইংল্যান্ডে শুধুমাত্র ইংল্যান্ডের পতাকা সেন্ট জর্জ ক্রস ওড়ানোর জন্য ঘৃণ্য বক্তব্য রাখার অপরাধে পুলিশ আপনার বিরুদ্ধে তদন্ত করবে। বামেরা, বিশেষত টনি ব্লেয়ার এই মিশনে এতটাই সফল হয়েছে যে ইংরেজরা বর্তমানে তাদের অতীত ইতিহাস এবং কৃতিত্ব নিয়ে গর্ব বোধ করতে ‚ নিজেদের জাতীয় অহংকারের কথা বলতে লজ্জা বোধ করে এবং প্রতিটি ইংরেজ রাজনীতিবিদকেই এখন এই রীতিনীতি পালন করতে হয় যদি না তারা রাজনীতি থেকে বিতাড়িত হতে চায় ‚ বা ঘৃণ্য অপরাধের অভিযোগে অভিযুক্ত হতে এবং হিটলারী হিসাবে গণমাধ্যমের কাছে কালো তালিকাভুক্ত হয়ে যেতে না চায়।
আতিশ তাসির এবং তাঁর নিজের করুণ কাহিনীতে ফিরে আসা যাক । আসিয়া বিবি ছিলেন এক দরিদ্র গ্রাম্য মহিলা, দুর্ভাগ্যক্রমে ইসলামিক প্রজাতন্ত্র পাকিস্তানের একজন খ্রিস্টান অধিবাসী। তিনি অন্যান্য মহিলাদের সাথে কথাকাটাকাটি করলে তাঁরা গিয়ে তাঁদের স্বামীদের জানিয়েছিলেন যে আসিয়া বিবি ইসলামের নবীর অবমাননা করেছেন। যদিও এটি কোন বিরল ঘটনা নয়। সম্প্রতি একজন পাকিস্তানি বালক ছাত্র হিসাবে তার দায়িত্ব পালন না করায় ‚ নিজের দোষ ঢাকার জন্যে হিন্দু প্রিন্সিপালের বিরুদ্ধে নবীকে অবমাননার অভিযোগ আনে। সর্বদা যেমন ঘটে থাকে, এক্ষেত্রেও পাকিস্তানের জনসাধারণ হিন্দুদের লক্ষ্য করে তাণ্ডব চালিয়েছিল।
আসিয়া বিবি মামলায়, আতিশ তাসিরের বাবা, পাঞ্জাব প্রদেশের প্রাক্তন গভর্নর এবং অন্যতম বিশিষ্ট পাকিস্তানি, আসিয়া বিবিকে হত্যার জন্যে রক্তপিপাসু জনসমাগম সত্ত্বেও তার পাশে থাকার আওয়াজ দেওয়ার সাহস করেছিলেন এবং বলেছিলেন যে আসিয়া বিবির ন্যায় বিচার পাওয়া উচিত। এ জন্য তাঁর নিজস্ব সরকারী নিরাপত্তা কর্মী মমতাজ কাদরী তাঁকে গুলি করে হত্যা করে। এই হত্যাকারীকে তার বিচারকালে নায়ক হিসাবে অভিহিত করা হয়েছিল।
শেষ পর্যন্ত , আসিয়া বিবি কারাগারে ১০ বছর অতিবাহিত করার পরে, পাকিস্তান সরকার তাকে দেশ থেকে বের করে দেওয়ার জন্য আদালতের নির্দেশ পেতে সক্ষম হয় । কিন্তু কারাগার থেকে মুক্তি পাওয়ার পর তাকে যথেষ্ট কৌশল অবলম্বন করতে হয়েছিল কারণ জনতা তাকে গণপিটুনিতে হত্যা করার পরিকল্পনা করছিল। শেষ পর্যন্ত তিনি কানাডায় চলে যান।
তবে যুক্তরাজ্যের কাছে নয়।
যুক্তরাজ্য তার আশ্রয়ভিক্ষা প্রত্যাখ্যান করেছিল কারণ থেরেসা মের রক্ষণশীল সরকার ব্রিটেনের মধ্যে পাকিস্তানি মুসলমানদের শক্তি সম্পর্কে ভীত ছিল। কিন্তু আসল ঘটনাটি হ’ল ব্রিটেনের মধ্যেই বিদ্যমান এবং শক্তিশালী পাকিস্তানের বর্বর মধ্যযুগীয় বাস্তবতা গ্রেট ব্রিটেনের গলা চেপে ধরেছে। পাকিস্তানের সাম্প্রতিক রাজনৈতিক ঘটনাক্রমে রাজধানী ইসলামাবাদ শহর ঘেরাও করে এক বিশাল জনসমাগম দেখে। এর নেতৃত্বে ছিলেন একজন প্রবীণ ইসলামী আলেম মাওলানা ফজল-উর-রেহমান ‚ যে কিনা আতিশ তাসিরের পিতার হত্যাকারী যে মমতাজ কাদরীর প্রশংসা করেছিলেন। জনতা তাকে নায়ক মনে করে।
আতিশ তাসির পাকিস্তানের পরিস্থিতি সম্পর্কে নিজের মাথা ঘামাচ্ছেন না। তিনি এদের কজন গ্রেট ব্রিটেনে স্থায়ী হয়েছে তা নিয়েও চিন্তিত হওয়ার কিছু দেখেন না। তিনি দাবি করেন না যে ব্রিটেন পাকিস্তানের থেকে নিজেকে বাঁচাবে এবং ব্রিটেনের মধ্যে আবদ্ধ হয়ে ওঠা পুরোপুরি বর্বর দিকগুলি থেকে রক্ষা করবে। তিনি ব্রিটেনকে অন্য আসিয়া বিবিদের বাঁচাতেও বলছেন না।
না, তিনি যা করছেন তা হ’ল নরেন্দ্র মোদী এবং হিন্দুত্বকে নিয়ে মানুষের মনে ক্রোধ জাগ্রত করা । তিনি পুরোপুরি দৃঢ় ভাবে বিশ্বাস করেন যে তাঁর সংগ্রাম বিশ্ব সভ্যতার ভালর জন্য হিন্দুত্ববাদী ফ্যাসিবাদীদের বিরুদ্ধে।
আতিশ তাসির, অরুন্ধতী রায়, এরা সবাই লিমোজিন মার্কসবাদী। মার্কস কিছু ঠিক বললেও , তাঁর যে ভুল হয়েছে তা হ’ল অর্থনৈতিক ব্যতীত শ্রমিক শ্রেণির কোনও পরিচয় নেই বা শ্রমজীবী ব্যতীত তার কোনও পরিচয় থাকতে পারে না! এটি একটি “সেক্যুলার” মতাদর্শের বীজ বপন করে দেয় যা আমেরিকান সংবিধানে সেক্যুলারিজম থেকে সম্পূর্ণ আলাদা।
আমেরিকান ধর্মনিরপেক্ষতা হ’ল চার্চ এবং রাষ্ট্রের বিচ্ছেদ। তবে যেখানে এটি রাষ্ট্রকে ধর্মীয় আইন থেকে রক্ষা করে, আবার রাষ্ট্রের নিপীড়ন থেকে বিশ্বাস ও বিবেককে স্বাধীন রাখারও সুরক্ষা দেয়। এটাই প্রকৃত ধর্মনিরপেক্ষতা। মার্কসবাদী ধর্মনিরপেক্ষতা যদিও বিশ্বাস এবং রাষ্ট্রের মধ্যে পৃথকীকরণ চায় না। মার্কসবাদী আদর্শ একটি আদর্শিক রাষ্ট্র, এবং আদর্শ কোনও প্রতিদ্বন্দ্বীকেই সহ্য করে না। বামপন্থীদের মার্কসবাদী শ্রমিক শ্রেণির অধিকারের উৎস অদৃশ্য হয়ে গেলেও মার্কসবাদ পরিবর্তিত হয়ে অর্থনীতি থেকে সংস্কৃতিতে স্থানান্তরিত হয়েছে। এখন আদর্শটি হ’ল ক্রিশ্চিয়ান সাদা পুরুষ, হিন্দু জাতীয়তাবাদী এবং জায়নবাদীরা অত্যাচারী এবং তাদের হাতে অত্যাচারিতরা বিপ্লবের জন্য ঐক্যবদ্ধ !
ধার্মিক নারী, মুসলমান, সমকামী, উভকামী এবং হিন্দু বাদে সব অশ্বেতাঙ্গ মানুষরা সবাই ঐক্যবদ্ধ হচ্ছে!
বার্লিন প্রাচীরের পতনের পরে মার্কসবাদী ডিএনএ সোভিয়েত ইউনিয়নের থেকে পশ্চিমের দিকে ঝাঁপিয়ে পড়েছে আক্রমণকারী ও চাপড়িতদের
কি অদ্ভুত!
পূর্বের কমিউনিস্ট ব্লকভুক্ত দেশগুলি বর্তমানে সবাই দক্ষিণপন্থী এবং পূর্বের খ্রিস্টীয় জগতের শক্তি হিসাবে তাদের শিকড়ে ফিরে আসছে, এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ইইউতে বামপন্থীরা পশ্চিমের অস্তিত্বের শত্রু হিসাবে চিৎকার করছে “রাশিয়া রাশিয়া রাশিয়া!” কেন? কারণ রাশিয়া সহ পূর্ব ইউরোপ বর্তমানে ঐতিহ্যবাহী সাদা খ্রিস্টান মানুষদের ঘাঁটিতে পরিণত হয়েছে। বামদের পক্ষে, চীন হুমকি নয়, সৌদি আরব হুমকি নয়। মৌলবাদী ইসলাম এবং সর্বগ্রাসী কমিউনিজম শত্রু নয়। না, তাদের শত্রু হ’ল শ্বেতাঙ্গদের দল, যারা মার্কসবাদের তৈরী করা নরক থেকে বেরিয়ে এসেছিল!
আর ভারতের ক্ষেত্রেও একই কথা সত্য। মার্কসবাদীরা ধর্মনিরপেক্ষতা ন্যায়বিচার কল্যাণমূলক রাষ্ট্রের প্রতিশ্রুতি দিয়ে হিন্দু পরিচয়কে দমন করেছিল, যেটি আর কখনও ঘটেনি। পাকিস্তান ৭০ বছর ধরে হিন্দু ভারতের বিরুদ্ধে ইসলামী জিহাদ চালায় আর মার্কসবাদীরা ভারতের অভ্যন্তরে ইসলামপন্থীদের ক্ষমতায়ন ছাড়া আর কিছুই করেনি। এখন ভারত তার হিন্দু পরিচয় প্রয়োগ করে ধর্মনিরপেক্ষ মার্কসবাদের গলা চেপে ধরেছে।
আর এই ঘটনাপ্রবাহই আতিশ তাসিরকে ক্ষুব্ধ করেছে।
ইংরাজী জাতীয়তাবাদও তাঁকে বিরক্ত করে। লক্ষ করুন যে জাতীয়তাবাদের বিরোধিতা করা সকলেরই কিন্তু স্কটিশ বা আইরিশ বা কাতালান জাতীয়তাবাদ সম্পর্কে কিছুই বলার নেই। শুধুমাত্র ইংরেজি জাতীয়তাবাদই তারা সহ্য করতে পারে না। এই ইংরেজরা তাদের অতীত সাম্রাজ্যর জন্য লজ্জা পেয়েছিল এবং কেবল ইংরেজরাই। বেলজিয়ানস, স্পেনিয়ার্ডস এবং ফরাসিরা তাদের অতীতের সাম্রাজ্যের মানুষ এবং সংস্কৃতি হিসাবে প্রতিনিধিত্ব করে। কেবল ইংরেজরা করে না। কারণ জনগণ,সংস্কৃতি এবং বিশ্বের এক শক্তি হিসাবে ইংরেজদেরই নীচে নামানো হয়েছে।
এর হিন্দু জাতি অনুভব করছে যে বামেরা তাদের পাশে থাকতে পারে না। মেক-আমেরিকা-গ্রেট মিশনে তারা অংশ নিতে পারে না। ইজরায়েলের পাশেও তারা থাকতে পারে না। কিন্তু ঠিক আছে। সহনশীলতা ও উদারপন্থার নামে বামরা তাদের কী হাল করেছে তা এখন পুরো দুনিয়া বুঝতে পারছে। এখন হয় গণতন্ত্র ধ্বংস হয়ে যাবে অথবা বামেরা ধ্বংস হবে । শ্বাসরোধী আধুনিক-নব্য-মার্কসবাদী প্রাতিষ্ঠানিক বামেদের বিরুদ্ধে সারা পৃথিবীতেই এখন একটা বিপ্লব চলছে।