ভারতের প্রথম মহিলা প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী জন্মেছিলেন এই বাড়িতে। উত্তরপ্রদেশের প্রয়াগরাজের সেই আনন্দ ভবনকে ৪ কোটি ৩৫ লক্ষ টাকার আয়কর নোটিস পাঠাল প্রয়াগরাজ মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন।
এই আনন্দ ভবনের দায়িত্ব বর্তমানে জওহরলাল নেহরু মেমোরিয়াল ট্রাস্টের হাতে। এই ট্রাস্টের প্রধান কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গান্ধী।
প্রয়াগরাজ মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনের চিফ ট্যাক্স অ্যাসেসমেন্ট অফিসার পি কে মিশ্র জানিয়েছেন, ২০১৩ সাল থেকে আয়কর বাকি রয়েছে এই বাড়িটির। মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন অ্যাক্ট ও প্রপার্টি ট্যাক্স রুলের আওতায় এই নোটিস পাঠানো হয়েছে। তাঁর বক্তব্য, “আমরা সেখানে সার্ভে করে বাড়িটির ট্যাক্স-এর পরিমাণ ঠিক করি। আমাদের এই সার্ভেতে কারও আপত্তি আছে কিনা সে ব্যাপারেও চিঠি পাঠিয়েছিলাম আমরা। কিন্তু কোনও উত্তর আসেনি। তারপরেই এই আয়কর নোটিস পাঠিয়েছি আমরা।”
এই আয়কর নোটিস নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। প্রয়াগরাজ মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনের প্রাক্তন মেয়র চৌধরী জীতেন্দ্র নাথ সিং জানিয়েছেন আনন্দ ভবনের বিরুদ্ধে আয়কর নোটিস পাঠানো যায় না। কারণ এই বাড়িটির দায়িত্বে থাকা ট্রাস্টকে সব ধরণের কর থেকে ছাড় দেওয়া হয়েছে। তাঁর কথায়, “আনন্দ ভবনের বিরুদ্ধ আয়কর নোটিস আনা ঠিক নয়। কারণ এই বাড়ি পরিচালনের দায়িত্বে রয়েছে জওহরলাল নেহরু মেমোরিয়াল ট্রাস্ট। এই ট্রাস্টকে সব রকমের কর থেকে ছাড় দেওয়া রয়েছে। এই বাড়িটি ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের একটি স্মারক। এটা শিক্ষার কেন্দ্র।”
এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেছে কংগ্রেস। স্থানীয় এক কংগ্রেস নেতার বক্তব্য, “আনন্দ ভবন ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের এক মন্দির। এই বাড়ির উপর আয়কর নোটিস বিজেপির খারাপ মানসিকতার ফসল। তারা চায় ভারত কংগ্রেস-মুক্ত ও নেহরু-মুক্ত হোক। কেন্দ্রের নির্দেশেই এই কাজ করেছে প্রয়াজরাজ মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন। মানুষ কখনওই এই সিদ্ধান্ত মেনে নেবে না।”