মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ করা হোক। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সন্ন্যাসীদের সম্পর্কে মন্তব্য নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের জনস্বার্থ মামলা দায়ের করে এই আর্জি জানালো বিশ্ব হিন্দু পরিষদ। তবে শুধু বিশ্ব হিন্দু পরিষদে নয় তাদের সাথে কয়েকজন মহারাজও এই মামলা দায়ের করেছেন। চলতি সপ্তাহে প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম এবং বিচারপতি হিরন্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চে মামলার শুনানি সম্ভাবনা রয়েছে।
বিশ্ব হিন্দু পরিষদের দাবি, মুখ্যমন্ত্রী যে ভাষায় সাধু ও আশ্রমে বিরুদ্ধে মন্তব্য করেছেন তারপর তাদের উপর আক্রমণ হবে। সেই আশঙ্কা থেকেই জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেছেন তারা। মুখ্যমন্ত্রীর এই মন্তব্যের প্রেক্ষিতে তাঁর বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ করুক কলকাতা হাইকোর্ট, আর্জি জানিয়েছেন তারা।
নির্বাচনী প্রচারে গিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মন্তব্য করেছিলেন সব সাধু সমান হন না। এই যে কার্তিক মহারাজ যিনি বলেন তৃণমূলের এজেন্ট বসতে দেবেন না, তাদের আমি সাধু বলে মানি না। তিনি সরাসরি রাজনীতি করে দেশটার সর্বনাশ করছেন। এরপরই নাম না করে রামকৃষ্ণ মিশন, ভারত সেবাশ্রম সঙ্ঘ, ইসকন মন্দিরের রাজনীতিতে যোগ রয়েছে বলে দাবি করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রীর এই মন্তব্য ঘিরে উত্তাল বঙ্গ রাজনীতি। এই মন্তব্যের পাল্টা মন্তব্য চলছে।
সরব হয়েছেন কার্তিক মহারাজ। ওই বিতর্কিত মন্তব্যের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে সোমবার মুখ্যমন্ত্রীকে আইনি চিঠি পাঠিয়েছেন তিনি। তাঁর দাবি, মানহানি হয়েছে তাঁর। সম্মানহানি করে মুখ্যমন্ত্রী অসত্য ও বিভ্রান্তকর মন্তব্য করেছেন বলে অভিযোগ ভারত সেবাশ্রম সংঘের সন্ন্যাসীর। চার দিনের মধ্যে মুখ্যমন্ত্রীকে জবাব দেওয়ার কথা বলা হয়েছে চিঠিতে। যদি সেটা না করেন মুখ্যমন্ত্রী তাহলে আইনি পদক্ষেপ করবেন মহারাজ বলেও জানানো হয়েছে। তারই মধ্যে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হলো বিশ্ব হিন্দু পরিষদ।