চুরি, বাড়ি ভাড়া না দেওয়ার অভিযোগ ক্যামিলা জিয়োরগির বিরুদ্ধে। ২০১৮ সালে উইম্বলডনের শেষ আটে পৌঁছানো ইটালির প্রাক্তন টেনিস খেলোয়াড়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন তাঁর বাড়িওয়ালা।
ছ’মাসের বাড়ি ভাড়া বাকি রেখে আমেরিকা চলে গিয়েছেন জিয়োরগি। যাওয়ার আগে বাড়িওয়ালার বাড়ি থেকে একাধিক মূল্যবান সামগ্রী তিনি চুরি করেছেন বলেও অভিযোগ। প্রাক্তন টেনিস খেলোয়াড়ের বিরুদ্ধে পুলিশের কাছে গত ৭ মে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন তাঁর বাড়িওয়ালা।
টাস্কানির ক্যালেনজ়ানো এলাকায় একটি বাড়িতে ভাড়া থাকতেন জিয়োরগি। তাঁর বিরুদ্ধে কর ফাঁকি দেওয়ার অভিযোগও রয়েছে। ইটালির পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকে পাঠানোর পরেই তিনি পরিবারের সদস্যদের নিয়ে আমেরিকায় চলে গিয়েছেন। তাঁর মা ক্লদিয়া, বাবা সার্জিয়ো, দুই ভাই আমাদেউস এবং লিয়েন্দ্রোও আমেরিকায় চলে গিয়েছেন।
বাড়িওয়ালা জানিয়েছেন, জিয়োরগির বাবার সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারলেও প্রাক্তন টেনিস খেলোয়াড়ের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারছেন না। তিনি বলেছেন, ‘‘জিয়োরগির বাবাকে বলেছিলাম, আপনারা অন্তত আমার মূল্যবান জিনিসগুলি ফেরত দিন। উত্তরে তিনি বলেন, তাঁদের কাছে আদৌ কোনও মূল্যবান জিনিস নেই। আমার সঙ্গে অত্যন্ত অপমানজনক ব্যবহার করেছেন তিনি। জিয়োরগির পরিবার আমার অর্থনৈতিক এবং মানসিক ক্ষতি করেছে।’’ তিনি আরও বলেছেন, ‘‘ওরা যেগুলি নিয়ে গিয়েছে, সেগুলি আমার এবং মায়ের কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং মূল্যবান। আমরা ওগুলো ফেরত চাই। হাজার হাজার ইউরো ভাড়া নয় ছেড়েই দিলাম।’’
গত মার্চ মাসে পেশাদার টেনিস থেকে অবসর নিয়েছেন জিয়োরগি। মায়ামি ওপেনের কোয়ার্টার ফাইনালে ইগা শিয়নটেকের কাছে হেরে টেনিসকে বিদায় জানিয়েছেন জিয়োরগি। তার পরেই বিতর্কে জড়িয়ে পড়লেন। পেশাদার টেনিসজীবনে চারটি সিঙ্গলস খেতাব রয়েছে তাঁর।