খসড়া বিল ও পাস হওয়া বিলে কেন ফারাক রয়েছে বিধানসভার সচিবালয়ের কাছে ফের তার জবাবদিহি তলব করলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়।বিধানসভা সূত্রে খবর, রাজ্যপালকে জবাব পাঠানো হচ্ছে। আগামী দু-একদিনের মধ্যেই বিধানসভা সচিবালয়ের তরফে গণপিটুনি বিল সংক্রান্ত বিভ্রান্তির উত্তর পৌঁছে যাবে রাজভবনে।
দ্য ওয়েস্ট বেঙ্গল প্রিভেনশন অব লিঞ্চিং বিল ২০১৯ বা গণপ্রহার রোধ বিল রাজ্য বিধানসভায় পেশ হয় গত ২৬ অগস্ট। নিয়ম অনুযায়ী, বিল পেশের আগে বিধায়কদের মধ্যে তা বিলি করতে হয়। সেটা করাও হয়েছিল। আলোচনার পর সেই বিল পাশও হয়ে যায়।
বিরোধীদের অভিযোগ, বিলি করা বিলের সঙ্গে বিধানসভায় পেশ এবং পাশ হওয়া বিলের মধ্যে অনেক গরমিল রয়েছে। রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করে এই অভিযোগ জানিয়ে আসেন বিরোধী দলনেতা আব্দুল মান্নান এবং বাম পরিষদীয় দলের নেতা সুজন চক্রবর্তী। তারপরেই বিধানসভা সচিবালয়ের কাছে গণপিটুনি বিল সংক্রান্ত এই অভিযোগের সত্যতা জানতে চেয়ে জবাব তলব করেন রাজ্যপাল।পুজোর ছুটির আগে বিধানসভার সচিবালয়ের তরফে সেই জবাবও পাঠানো হয় রাজ্যপালের কাছে। কিন্তু তাতে সন্তুষ্ট হতে পারেননি রাজভবন। অভিযোগে কতটা সত্যতা রয়েছে তা ফের আইন বিভাগের কাছে বিস্তারিত জবাব তলব করে রাজ্যপাল।
সূত্রের খবর, আইন বিভাগের দেওয়া জবাবের সঙ্গে বিধানসভার সচিবালয়ের দেওয়া জবাবের একাধিক ফারাক রয়েছে। যার পরিপ্রেক্ষিতে ফের বিধানসভার সচিবালয়ের কাছে গণপিটুনি সংক্রান্ত বিল নিয়ে যে অভিযোগ উঠেছে, তার ব্যাখ্যা চেয়েছেন রাজ্যপাল জাগদীপ ধনখড়। রাজ্যপাল ফের জবাব তলব করায় স্বাভাবিকভাবে অস্বস্তিতে রাজ্য প্রশাসনের। নিয়ম অনুযায়ী কোনও বিল বিধানসভায় পাশের পর তা রাজ্যপালকে পাঠাতে হয় অনুমোদনের জন্য। রাজ্যপালের সইয়ের পরেই সেই বিল আইনে পরিণত হয়।
গণপ্রহার রোধ বিল রাজভবনে পাঠানো হলেও বিলে তিনি তো সই করেননি বরং বিরোধীদের অভিযোগের জবাব চেয়ে পাঠালেন তিনি। বিধানসভার সচিব কি জবাব দেন তার উপর অনেকটাই নির্ভর করছে এই বিলের ভবিষ্যৎ।