প্রথম তিন দফা শান্তি পূর্ণ হলেও অশান্তির ছবি ফিরলো চতুর্থ দফার নির্বাচনে। বেলা বাড়তেই একের পর এক জায়গায় অশান্তির ছবি দেখা গেল। রণক্ষেত্র পরিস্থিতি নিল মন্তেশ্বর ও দুর্গাপুরের ১২ নম্বর ওয়ার্ডে।
মন্তেশ্বর ও বর্ধমানের কালনা গেট এলাকায় বিজেপি- তৃণমূলের মধ্যে সংঘাতের ঘটনায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায়। ভাঙ্গচুর করা হয় দিলীপ ঘোষের কনভয়ের গাড়ি। একের পর এক ঘটনায় নড়েচড়ে বসে জাতীয় নির্বাচন কমিশন। ঘটনার পরে মুখ্য নির্বাচন কমিশনের দপ্তরে শীর্ষ আধিকারিকদের কাছে ফোন আসে। কেন এই ঘটনা ঘটলো বিস্তারিত তথ্য নির্বাচন সদন নিয়েছে বলে সূত্রের খবরে জানাগেছে। মুখ্য নির্বাচন কমিশন প্রতিটি ঘটনায় কী পদক্ষেপ নিয়েছে সেটাও জানতে চেয়েছে।
সম্প্রতি নির্বাচন কমিশনের উচ্চ পর্যায়ের একটি বৈঠকে কোথায় কেমন নির্বাচন হলো সেই সংক্রান্ত তথ্য আলোচনা হয়। সেখানে উপস্থিত ছিলেন খোদ নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিনহা। সেখানে তিন দফার নির্বাচন শান্তিপূর্ণ বলে প্রশংসা করেছিলেন তিনি। কিন্তু চতুর্থ দফায় পরিস্থিতি বদলে গেল। একাধিক জায়গায় অশান্তির অভিযোগ সামনে উঠে আসছে। রণক্ষেত্র পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল মন্তেশ্বর ও দুর্গাপুরের একাধিক জায়গায়। দুর্গাপুরের ১২ নম্বর ওয়ার্ডের বিজেপির, তৃণমূল সংঘর্ষে উত্তেজনা তৈরি হয়।বিজেপি কর্মীকে ব্যাপক মারধরের অভিযোগ ওঠে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে একের পর এক রণক্ষেত্র পরিস্থিতি তৈরি হয়। এলাকাবাসী প্রতিবাদে রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে। ঘটনাস্থলে আসে বিশাল পুলিশ বাহিনী।
এদিকে ধুন্ধুমার কান্ড ঘটে বর্ধমানের মন্তেশ্বর এলাকায়। বাঁশ উঁচিয়ে দিলীপ ঘোষকে বাধা দিতে আসার অভিযোগ ওঠে। গাড়ির সামনে শুয়ে পড়ে বিক্ষোভ দেখায় তৃণমূল কর্মীরা। বিজেপি প্রার্থী দিলীপ ঘোষের গাড়ি আটকে দেওয়া হয় রাস্তাতে। কিছুতেই এগোতে দেবে না বলে তারা দিলীপ ঘোষকে গো ব্যাক স্লোগান দিতে থাকেন। প্রাক্তন রাজ্য সভাপতির কনভয়ে থাকা গাড়িও ভাঙ্গচুর করা হয়েছে বলে অভিযোগ। পরিস্থিতি সামাল দেয় পুলিশ বাহিনী।