বাংলায় এবার অন্যরকম পরিস্থিতি। তাই বিজেপি ছাপিয়ে যাবে গতবারের সাফল্যকেও। রবিবার ব্যারাকপুর লোকসভার বিজেপি প্রার্থী অর্জুন সিং এর সমর্থনে ভাটপাড়ার জগদ্দলের সভা থেকে এমনটাই দাবি করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
আগামী ২০ মে পঞ্চম দফায় ভোট রয়েছে ব্যারাকপুরে। মোদীর কথায় পূর্ব ভারতে গুরুত্বপূর্ণ রাজ্য পশ্চিমবঙ্গ। এখানে এবার অন্যরকম পরিস্থিতি। গতবারে সাফল্যকে ছাপিয়ে যাবে বিজেপি। ১৯ এর লোকসভা ভোটে বাংলা থেকে ১৮ টি আসনে জয়ী হয়েছিল বিজেপি। গত মাসে বারাসতে নির্বাচনী সভা থেকে সন্দেশখালির প্রসঙ্গ টেনে মোদী বলেছিলেন ৪২ এ ৪২ চাই। এবার সরাসরি কোনও সংখ্যার উল্লেখ করেননি প্রধানমন্ত্রী। তবে তৃণমূল এবং সিপিএমকে এক বন্ধনীতে রেখে মোদী বলেন, বাংলায় রামনবমী পালন করতে দেয় না। রামের নাম নিতে দেয় না তৃণমূল সরকার। কংগ্রেস আর বামফ্রন্ট রামনবমীর বিরুদ্ধে। এমন লোকজনের হাতে কি এই মহান দেশ তুলে দেওয়া যায়? কিছুটা থেমে তারপর নিজেই এর উত্তর দিয়েছেন মোদী।
তিনি বলেন, কংগ্রেসের আমলে দেশের দারিদ্র বেড়েছিল আর তৃণমূল বাংলাকে দুর্নীতির আখড়ায় পরিণত করেছে। এদের জেলে ভরতেই হবে। আমজনতার উদ্দেশ্যে মোদী বলেন, “তৃণমূল বলে কেন্দ্র টাকা দিচ্ছে না। আপনারা মন দিয়ে শুনুন, কিছুদিন আগে ক্যাগের রিপোর্ট এসেছে। ২ লাখ কুড়ি হাজার কোটি টাকার কোনও হিসেব দেয়নি তৃণমূল। তৃণমূল যে কত বড় দুর্নীতিগ্রস্ত দল তার সবচেয়ে প্রমাণ শিক্ষক দুর্নীতি। এরা সরকারে থেকে চাকরি বিক্রি করেছে, কত বড় দুর্নীতিভাবুন।”
ভাটপাড়ার সভা থেকে বাংলার মানুষের জন্য পাঁচটি গ্যারান্টি দেন মোদী। বিজেপি ক্ষমতায় এলে ধর্মের ভিত্তিতে সংরক্ষণ দেওয়া হবে না। পাশাপাশি জানিয়ে দেন, এই তপশিলি জনজাতি সংরক্ষণ কেউ শেষ করতে পারবে না। রামনবমীর পালন করতে বা রামের পুজোয় কেউ বাধা দিতে পারবে না। রামমন্দির নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের সিদ্ধান্ত কেউ বদলাতে পারবে না। সিএ এ কেউ বন্ধ করতে পারবে না।
শনিবার সন্ধ্যাবেলায় রাজ্যে এসেছেন মোদী। রাজভবনে ছিলেন রাতে। আজ একের পর এক কর্মসূচি তার। ব্যারাকপুরে সভার পর হুগলীর চুঁচুড়ায় সভা লকেট চট্টোপাধ্যায় সমর্থনে। এরপর আরামবাগের পুড়শুড়ায় বিজেপির প্রার্থী অরূপ কান্তি দিগড়ের হয়ে প্রচার। তারপর হাওড়া বিজেপির প্রার্থী রথীন চক্রবর্তী সমর্থনেও জনসভা।