দহনজ্বালা থেকে মুক্তি দিয়ে সোমবার সন্ধ্যায় নেমেছিল স্বস্তির বৃষ্টি। বৈশাখের বৃষ্টিতে ভেজে কলকাতা-সহ রাজ্যের দক্ষিণ থেকে উত্তরের বেশির ভাগ জেলাই। কোথাও মাঝারি, কোথাও বা ভারী বৃষ্টি। সঙ্গে ছিল ঝোড়ো হাওয়াও। আর এই বৃষ্টির জেরে শুধু কলকাতাতেই সর্বনিম্ন তাপমাত্রা স্বাভাবিকের পাঁচ ডিগ্রি নীচে নেমে গেল। তবে স্বস্তির খবর শুনিয়ে আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, মঙ্গলবারও দক্ষিণবঙ্গের বিস্তীর্ণ অংশে ঝড়বৃষ্টি চলবে। সম্ভাব্য দুর্যোগের আশঙ্কায় ১১টি জেলায় কমলা সতর্কতা জারি করেছে হাওয়া অফিস।
মঙ্গলবার সারা দিনে কলকাতার আকাশ মেঘাচ্ছন্ন থাকবে। বৃষ্টির সঙ্গে বইতে পারে ঝোড়ো হাওয়াও। সর্বোচ্চ এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকতে পারে যথাক্রমে ৩২ এবং ২২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। রবিবার কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৯.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সোমবার সন্ধ্যায় বৃষ্টির পর তা-ই নেমে আসে ২১.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসে, যা স্বাভাবিকের চেয়ে ৫ ডিগ্রি কম। আলিপুর আবহাওয়া দফতরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, সোমবার সন্ধ্যা সাতটা থেকে রাত ন’টা পর্যন্ত বালিগঞ্জে ৮৭, পামারবাজারে ৪৯, ধাপা ৬৪, উল্টোডাঙায় ৫০, তপসিয়ায় ৬০, ঠনঠনিয়ায় ৩৯, মানিকতলায় ৫৭, বীরপাড়ায় ৪৬, দত্তবাগানে ৫৯, বেহালায় ৬০.৮, জিঞ্জিরাবাজারে ৫৩, গার্ডেনরিচে ৫০ এবং পোদিরহাটিতে ৫৭ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে।
আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে আগামী শনিবার পর্যন্ত বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টিপাত চলবে। শুক্রবার থেকে বৃষ্টি কমে আসতে পারে। বৃষ্টির সঙ্গে ঝোড়ো হাওয়াও বইতে পারে। এই বিষয়ে ১১টি জেলাকে সতর্ক করা হয়েছে। জেলাগুলি হল দুই ২৪ পরগনা, দুই মেদিনীপুর, হাওড়া, হুগলি, কলকাতা, বাঁকুড়া, দুই বর্ধমান এবং বীরভূম। এই জেলাগুলিতে বৃষ্টির সঙ্গে ঘণ্টায় ৫০ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে। দক্ষিণবঙ্গের অন্য জেলাগুলিতে ঝোড়ো হাওয়ার গতিবেগ হতে পারে ঘণ্টায় ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার।
আগামী মঙ্গলবারও রাজ্যের উপকূলবর্তী জেলাগুলিতে ৪৫ থেকে ৫৫ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়ার পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। এই সময় সমুদ্র উত্তাল থাকতে পারে। তাই মৎস্যজীবীদের মঙ্গলবার পর্যন্ত সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে। উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতেও হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। বৃষ্টির সঙ্গে জেলাগুলিতে ঘণ্টায় ৪০ থেকে ৫০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে।