সরশুনায় যাদবচন্দ্র ঘোষ রোডের ধারে অবস্থিত ঘোষ বাড়ির কালীমন্দির। এই ঘোষ বংশেরই পূর্বপুরুষ রায়বাহাদুর ডাক্তার যাদবচন্দ্র ঘোষ (১৮১০-১৮৮৬)। তিনি ব্রিটিশ সেনাবাহিনীর চিকিৎসক ছিলেন। সাউথ সুবারবান মিউনিসিপ্যালটির ভাইস চেয়ারম্যান পদও অলংকরণ করেছিলেন তিনি।
মন্দিরটি ১৩৪৩ বঙ্গাব্দে প্রতিষ্ঠিত। ঘটের পিছনে প্রতিষ্ঠাতা ঘোষ বংশের নরেশ-নলিনী’র নাম (ডা. যাদবচন্দ্র ঘোষের পৌত্র নরেশচন্দ্র ঘোষ ও পৌত্রবধূ প্রফুল্ল নলিনী ঘোষ) প্রস্তরখন্ডে উল্লেখ আছে। কালীমন্দিরের পশ্চিম দিকে ছোটো বাণেশ্বর শিব মন্দির। তারও পশ্চিমে বটগাছ। তাতে অসংখ্য পাখির আনাগোনা।
ঘুঘু, টুনটুনি, দুর্গা টুনটুনি, দোয়েল, বুলবুলি, কোকিল ইত্যাদি। মন্দিরে প্রবেশ করার আগে বাঁয়ে কাঁঠাল গাছ, ডানদিকে যজ্ঞডুমুর গাছ। পূর্বে এবং দক্ষিণ-পূর্ব কোণে রয়েছে দুটি বৃহৎ অশোকগাছ। এছাড়া দুটি সুউচ্চ দেবদারু গাছ, সাগুপাম, বেশ কয়েকটি সুপারি, দুটি আমগাছ দেখা যায়। মন্দিরের উত্তর-পূর্ব কোণে একটি বৃহৎ নিমগাছ আছে। ভেষজ উদ্ভিদ ‘ননী গাছ’-ও রয়েছে দেখলাম, তাতে ছোটো ছোটো ফল ধরেছে।
পুরো চত্বরটি লাল প্রাচীরে ঘেরা। ১৩৮৪ বঙ্গাব্দের শ্রাবণ মাসে নতুনভাবে গেট ও প্রাচীর তৈরি করে দেওয়া হয়। এটি বর্তমানে ঘোষবাড়ী কালীমন্দির দেবসেবা সমিতির দ্বারা পরিচালিত। কলিকাতা -৬১ র অন্তর্গত এই মন্দির। মন্দির চত্বরের বাহির ঘেঁষে রাস্তা। তার উল্টো দিকে একটি প্রাচীন পুস্করিণী। সব মিলিয়ে একটি মনোরম স্থান, প্রচণ্ড গরমের দুপুরেও বেশ শীতল বোধ হল। আজ এখানে কয়েক ঘন্টা কাটাতে পেরে আনন্দিত হয়েছি।
ড. কল্যাণ চক্রবর্তী