শনিবার পর্যন্ত উত্তরবঙ্গের ৩ এবং দক্ষিণবঙ্গের ৬ জেলায় তীব্র অথবা মৃদু তাপপ্রবাহের সতর্কতা জারি করেছে হাওয়া অফিস। রবিবার থেকে বঙ্গে বৃষ্টি। সোম ও মঙ্গলবার গোটা বাংলা জুড়েই বৃষ্টি। সেই সঙ্গে কোনও কোনও জেলায় ৪০ থেকে ৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত দমকা ঝোড়ো হাওয়া। সুতরাং পরবর্তী ৭২ ঘন্টা তাপপ্রবাহ থেকে সাময়িক মুক্তি। পশ্চিম মধ্য বঙ্গোপসাগর থেকে পর্যাপ্ত জলীয় বাষ্প ঢুকতেই বৃহস্পতিবার রাজ্যের বেশ কিছু এলাকা সাময়িক ভাবে তাপপ্রবাহের কবল থেকে মুক্তি পেয়েছে।
যদিও পশ্চিম মেদিনীপুর এবং পশ্চিম বর্ধমান জেলায় এখনও তীব্র তাপপ্রবাহ। উত্তরের দুই জেলা মালদা এবং দক্ষিণ দিনাজপুরের পাশাপাশি হুগলি, ঝাড়গ্রাম, পূর্ব বর্ধমান এবং নদিয়া জেলায় মৃদু তাপপ্রবাহের সতর্কতা জারি আছে। কলকাতা-সহ গাঙ্গেয় দক্ষিণবঙ্গের কয়েকটি জেলা আপাতত তাপপ্রবাহের তালিকার বাইরে এসেছে। ৫ মে রবিবার থেকে তাপপ্রবাহের বাইরে চলে আসবে রাজ্যের সিংহভাগ জেলা।
বৃষ্টি কবে কোথায়? আজ ৩ মে উত্তরের দুই পার্বত্য জেলা দার্জিলিং এবং কালিম্পং বৃষ্টি পাবে। কাল ৪ মে দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলায় বৃষ্টি। পূর্ব মেদিনীপুর, দুই ২৪ পরগণা। দুই দিনাজপুরে বৃষ্টি। জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার কোচবিহারে বৃষ্টি। বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির সঙ্গে দমকা হাওয়া। রবিবার ৫ মে দুই ২৪ পরগণা নদিয়া, মুর্শিদাবাদে বৃষ্টি। সঙ্গে ৩০ থেকে ৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত দমকা ঝোড়ো হাওয়া। সোমবার ৬ মে রাজ্যের সমস্ত জেলায় বৃষ্টি এবং ঝোড়ো হাওয়া। উপকূল এলাকায় হাওয়ার গতি বেশি থাকবে। অন্যত্র কিছুটা কম থাকবে। মঙ্গলবার ৭ মে দক্ষিণবঙ্গের সমস্ত জেলায় বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি। সঙ্গে ৩০ থেকে ৫০ কিলোমিটার বেগে দমকা ঝোড়ো হাওয়া।
স্বস্তি কতদিন? বৃষ্টির পর তাপপ্রবাহ অন্ততঃ পরবর্তী ৭২ ঘন্টার জন্য থাকবে না। তবে মোট কতদিন স্বস্তি থাকবে তা নির্ভর করবে আগামী ৪৮ ঘন্টায় বঙ্গোপসাগর থেকে কতোটা জলীয় বাষ্প রাজ্যে ঢুকছে এবং কতটা শক্তিশালী মেঘ তৈরি করছে তার ওপর। সকালে পরিস্কার আকাশ। দিনভর আপেক্ষিক আর্দ্রতা জনিত ঘর্মাক্ত অস্বস্তি। বিকেল ৩ টের পর আংশিক মেঘলা আকাশ। গুমোট অস্বস্তি আরও বাড়বে। তবে কলকাতায় আজ খুব বেশি পারদ উত্থানের আশঙ্কা থাকছে না। কাল দিনের তাপমাত্রা ৩৯.২ ডিগ্রি। স্বাভাবিকের থেকে ৩.৮ ডিগ্রি বেশি। অর্থাৎ কলকাতায় কাল তাপপ্রবাহ ছিল না। কাল রাতের তাপমাত্রা ৩০ থেকে সামান্য কমে ২৯.৫ ডিগ্রি। বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ ৮৯ থেকে ৩৯ শতাংশ। আজ বেলা বাড়লে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ ৯০ শতাংশ ছাড়িয়ে যাবে।