এসএসসি মামলায় হাইকোর্টের রায়ে চাকরিহারা প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষক। ২০১৬-র পুরো প্যানেলকেই ‘নাল অ্যান্ড ভয়েড’ ঘোষণা করেছে হাইকোর্ট। হাইকোর্টের এই রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে দায়ের হয়েছে মামলা। হাইকোর্টের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ রাজ্য, মধ্যশিক্ষা পর্ষদ ও চাকরিহারারা। এখন সোমবার সুপ্রিম কোর্টে সওয়াল জবাবের সময় অন্যতম প্রধান প্রশ্ন ছিল, কীভাবে ‘যোগ্য এবং অযোগ্য’ বাছাই হবে? ‘যোগ্য-অযোগ্য’ বাছতে কী করা যেতে পারে?
কমিশন সূত্রে খবর, বাতিল প্যানেল থেকে যোগ্য-অযোগ্য বাছতে মোট ৫টি পন্থার কথা ভাবা হয়েছে। এক্ষেত্রে ১) ওএমআর শিটের যে স্ক্যান কপি আছে সেগুলোকে পুনর্মূল্যায়ন করতে হবে। সেখানে যাদের নম্বর দেখা যাবে সঠিক আছে তাদের একটি তালিকা তৈরি করা হবে। ২) এরপর সেই তালিকার ক্যান্ডিডেটদের ডেকে তাদের অ্যাকাডেমিক স্কোরের কাগজপত্র, কমিশনের ওয়েবসাইটে থাকা তথ্যের সঙ্গে মিলিয়ে দেখতে হবে। ৩) এরপর ক্যান্ডিডেটদের পার্সোনালিটি টেস্টের যে নম্বর কমিশনের কাছে আছে তা ব্যবহার করে চূড়ান্ত তালিকা তৈরি করতে হবে। ৪) সেক্ষেত্রে কোনও ক্ষেত্রে ওএমআর শিটের স্ক্যান কপি না পাওয়া গেলে সেখানে অ্যানসার স্ট্রিং ব্যবস্থাকে গ্রহণ করা যেতে পারে বলে জানা যাচ্ছে। ৫) তবে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন এই পুরো প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করে নতুন প্যানেল তৈরি করতে কয়েক মাস লেগে যাবে।
প্রসঙ্গত, সুপ্রিম কোর্ট এসএসসি মামলায় হাইকোর্টের রায়ে স্থগিতাদেশ দেয়নি। বদলে সুপার নিউমেরারি পোস্ট নিয়ে প্রশ্ন করে রাজ্যকে। প্যানেল বহির্ভূত চাকরিকে জালিয়াতি বলে মন্তব্য করে শীর্ষ আদালত। সেইসঙ্গেই যোগ্য-অযোগ্য কীভাবে বাছাই হবে তা নিয়েও ‘সুপ্রিম’ প্রশ্নের মুখে পড়তে হয় রাজ্যকে। প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় বিস্ময় প্রকাশ করে বলেন, ওএমআর নষ্ট করা হয়েছে। প্যানেলের বাইরে থাকা প্রার্থী চাকরি পেয়েছেন। এ তো মস্ত বড় দুর্নীতি! তিনি প্রশ্ন করেন, কেন সুপারনিউমেরারি পোস্ট তৈরি হল? প্রধান বিচারপতি জানতে চান, ওএমআর যেখানে নষ্ট করা হয়েছে, সেখানে যোগ্য-অযোগ্যদের চিহ্নিত করা হবে কীভাবে? ৬ মে ফের শুনানি।