প্রচারে দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন বর্ধমান দুর্গাপুরের বিজেপি প্রার্থী দিলীপ ঘোষ। কখনও হাতে লাঠি, কখনও হাতে হকি স্টিক নিয়ে ঘুরছেন দিলীপ ঘোষ। কখনও আলগা কথা বেরিয়ে পড়ছে বিজেপি প্রার্থীর মুখে থেকে। এবার শাসকদলকে সরাসরি হুমকি দিলেন দিলীপ ঘোষ।
মঙ্গলবার বর্ধমানের ওড়গ্রামে প্রচারে গিয়েছিলেন দিলীপ ঘোষ। ওড়াগ্রাম প্রাথমিক স্কুলের মাঠের এক কর্মীসভায় দিলীপ ঘোষ বলেন, ওরা আমাদের ঝান্ডা খুলে দিচ্ছে, ফ্ল্যাগ ছিঁড়ে দিচ্ছে। ওদের বলুন, সেইদিন আর নেই। বেশিদিন আর বাড়ির ভাত খেতে পারবি না। বউয়ের গায়ে চার পদের গহনা। বাইকে বউকে চাপিয়ে বিরায়ানি খেতে যাচ্ছে। এই সুখ আর বেশিদিন চলবে না। ভোটের পর আমাদের বহু লোককে মেরেছে, তাড়িয়ে দিয়েছে। কিন্তু গ্রামের লোক যখন তাড়া করবে তখন সুন্দর বাড়িঘর ফেলে পালাতে হবে। ভাত জুটবে না, জেলে থাকতে হবে। আমি বলে যাচ্ছি এটা হবে।
এখানেই থেমে থাকেননি দিলীপ ঘোষ। বিজেপি নেতা বলেন, “ডাকাত গুণ্ডাদের দিয়ে আর ভোট লুট করতে দেব না। কে চমকাচ্ছে সেই নামটা আমাকে জানাবেন, আমি দেখব কী করে সে গ্রামে থাকে। আমি অনেক গুণ্ডাদের বিরুদ্ধে লড়াই করেছি। সবাইকে সিধে করে দিয়েছি। বিজেপি যে রাজ্যে ক্ষমতায় আছে সেখানে আর গুণ্ডা মাফিয়ারা নেই । ছেড়ে চলে গিয়েছে। না হলে জেলে গিয়েছে। গরিব মানুষের টাকা লুট করে বাড়ি গাড়ি করেছে, সেটা কপালে সইবে না। যে রাজ্যে আমরা জিতেছি সবকটাকে জেলে ঢুকিয়েছি। এবার মানুষ ওদের এই রাজ্যেও হারাবে।”
রাজ্যের টাকা কেন্দ্র আটকে রেখেছে কেন্দ্র, বারবারেই অভিযোগ করে থাকে রাজ্য সরকার। এনিয়ে দিলীপ ঘোষ বলেন, আবাস যোজনার টাকা, কৃষক সম্মাননিধির টাকা, শৌচালয়ের টাকা কেন্দ্র দিতে চাইছে। কিন্তু তৃণমূল কংগ্রেস দিতে দিচ্ছে না। ওরা অর্ধেক লোকের নাম পাঠায়নি।
এদিন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও কটাক্ষ করেন দিলীপ ঘোষ। বলেন,”গতবারের লোকসভা নির্বাচনে অমিত শাহ ২২টা আসন জেতার কথা বলেছিলেন। আমরা ১৮টা সিটে জিতেছিলাম। এবার নরেন্দ্র মোদী ৩৫ টির আশা করেছেন। গতবার আমরা তৃণমূল কংগ্রেসের ১২টা সিট খেয়েছিলাম। এবার আর ১২টা খেলেই দিদি ম্যাও ম্যাও…করবেন.।