শহরে ফের নাশকতার ছক? টার্গেট এবার নবান্ন, রাজভবন, জাদুঘর! ‘একাধিক বিস্ফোরক রাখা আছে’, এই মর্মে এল হুমকি মেইল। নেপথ্যে কারা? আইপি অ্যাড্রেস খতিয়ে দেখছে কলকাতা পুলিস।
লালবাজার সূত্রে খবর, আজ মঙ্গলবার নবান্ন, রাজভবন, জাদুঘর উড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়ে মেইল পাঠানো হয়। মেইলে লেখা ছিল, ‘আমরা একটি জঙ্গিগোষ্ঠী, নাম টেররাইজার্স ১১১। আমরা আপনাদের ভবনের ভিতরে বিস্ফোরক রেখে দিয়েছি। মানুষের মৃত্যু নিশ্চিত করেছি আমরা। সেটাই এই হামলর মূল লক্ষ্য। রক্তস্রোতই অন্তিম দশা, বিদায়’।
এদিকে লোকসভা নির্বাচন চলছে। বাংলায় ফের প্রচারে আসছে মোদী। রাজভবনে রাতের থাকার কথা প্রধানমন্ত্রী। ফলে হুমকি মেইল পাওয়ার পর তৎপর হয় কলকাতায় পুলিস। রাজভবন তো বটেই, তল্লাশি অভিযান চলে নবান্ন ও যাদুঘরে। তবে সন্দেহজনক কিছু মেলেনি। লাবাজারের তরফে জানানো হয়েছে, মেলগুলি ভুয়ো।
গতকাল সোমবার ফের হুমকি মেইল আসে কলকাতা বিমানবন্দরেও। বলা হয়,’ ৩ বোমা রাখা আছে’। বিমানবন্দরে চিরুণি তল্লাশি চালায় CISF। কিন্তু কিছু পাওয়া যায়নি। এই নিয়ে ৩ দিনের মধ্যে দ্বিতীয় হুমকি মেইল! প্রথম হুমকি মেইল এসেছিল ২৬ তারিখ, দ্বিতীয় দফার ভোটগ্রহণের দিন।
এর আগেও কলকাতা বিমানবন্দরে বোমাতঙ্ক ছড়িয়েছে। বিমানে বোমা রাখা আছে বলে চিৎকার করতে থাকেন এক যাত্রী। আর তার জেরেই ছড়িয়ে পড়ে আতঙ্ক। মাঝরাতে ৫৪১ জন যাত্রী নিয়ে কলকাতা থেকে দোহা হয়ে লন্ডন যাওয়ার কথা ছিল কাতার এয়ারলাইন্সের এই বিমানের। কিন্তু যাত্রীর চিৎকারে হুলস্থূল কাণ্ড বেঁধে যায়। বিমান খালি করে চলে তল্লাশি। আনা হয় পুলিস কুকুর। যে যাত্রী চিৎকার করে বোমাতঙ্কের কথা বলেছিলেন, তাঁকে বিমানবন্দরে বসিয়ে রেখে চলে জিজ্ঞাসাবাদ। তিনি জানান যে, তাঁকে একজন জানিয়েছেন বিমানে বোমা রাখা আছে। যদিও পরে জানা যায় যে, ওই যাত্রী বিরল মানসিক রোগে আক্রান্ত। তল্লাশি চললেও কোনও সন্দেহজনক বস্তু আর মেলেনি।