সাত সকালে শহরে অগ্নিকাণ্ড। নাখোদা মসজিদের কাছে গোবিন্দ চন্দ্র ধর লেনে একটি কার্টেন ও প্লাস্টিকের গোডাউনে বিধ্বংসী আগুন লাগে। ভোর পাঁচটা নাগাদ স্থানীয় বাসিন্দারা এই গোডাউনের ভেতর থেকে প্রথমে ধোঁয়া বেরোতে লক্ষ্য করে পরবর্তীতে অতি দ্রুত ভয়ংকর আগুনে গ্রাস করে নেয় পুরো গোডাউনটি।
পরবর্তী সময়ে দমকলকে খবর দিলে দমকলের দশটি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে আগুন নেভানোর কাজে আসে। তবে অত্যন্ত ঘনবসতিপূর্ণ এলাকা হওয়ায় এবং জলের উৎস না থাকায় যথেষ্ট বেগ পেতে হয় দমকল কর্মীদের।
দীর্ঘ এক ঘণ্টা ৪০ মিনিটের প্রচেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে দমকল কর্মীরা। তবে ঠিক কী কারনের জন্য আগুন লেগেছে তা এখনও স্পষ্ট নয়। কিন্তু এরকম ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় এরকম একটা গোডাউন আদৌ বৈধ ছিল কিনা তা খতিয়ে দেখছে পুলিস প্রশাসন।
বর্তমানে আগুন অনেকটা নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হয়েছে। তবে অত্যন্ত ঘনবসতিপূর্ণ এলাকা হওয়ায় দমকলের কর্মীদের যথেষ্ট বেগ পেতে হচ্ছে আগুন নেভানোর কাজে।
পার্শ্ববর্তী বিল্ডিংগুলোতেও জল দেওয়া হচ্ছে যাতে পার্শ্ববর্তী বিল্ডিং গুলিতে আগুন ছড়িয়ে না পরে। দমকলের প্রাথমিক অনুমান শর্ট সার্কিটের কারণেই এই অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে। তবে তদন্ত না করে নিশ্চিত ভাবে কিছু বলা সম্ভব নয় বলে জানিয়েছেন দমকলের আধিকারিকরা।
এই অগ্নিকান্ডের দায় কার সেই নিয়ে ইতিমধ্যেই দায় ঠেলাঠেলি শুরু হয়েছে। দমকলমন্ত্রী সুজিত বোস জানিয়েছেন, ‘দমকলকর্মীদের ঘণ্টা দু’য়েকের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে। এখন কুলিং প্রসেস চলছে। কী ভাবে আগুন লাগল, তা তদন্ত করে দেখতে হবে। তবে এখন সবচেয়ে আগে আগুন পুরোপুরি নেভানোই আমাদের লক্ষ্য। তার পর আমরা খতিয়ে দেখব ওই গুদামে কাগজপত্র ঠিকঠাক ছিল কি না, অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা রয়েছে কি না।’
অন্যদিকে সকালেই ঘটনাস্থলে আসেন উত্তর কলকাতার বিজেপি প্রার্থী তাপস রায়। তাপস ঘটনাস্থলে পৌঁছতেই এলাকায় উত্তেজনা ছড়ায়। ৪২ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর এবং তাঁর অনুগামীরা তাপসকে দেখে ‘গো ব্যাক’ স্লোগান দিতে শুরু করেন।
এই ঘটনার দায় তিনি দমকল এবং পুলিসের দিকেই ঠেলেছেন তিনি। তিনি জানিয়েছেন, ‘পুলিশ এবং দমকল কেন এত দিন ব্যবস্থা নেয়নি? সকলকে জবাব দিতে হবে।’
স্থানীয় কাউন্সিলরের দাবি আগের কাউন্সিলর বিজেপি, এরজন্যই বেআইনি গুদামের রমরমা। অন্যদিকে তাপস রায়ের প্রশ্ন গত দুই বছরে তৃণমূল কাউন্সিলর কী করেছেন।