নদী বাঁধের কাজ নিয়ে বড়সড় দুর্নীতির অভিযোগ উঠলো জলপাইগুড়ি জেলার বানারহাটে। ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়।
নির্বাচনের কাজে যখন ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন প্রশাসনের কর্তারা সেই সুযোগে দেদার ছোট সাইজের পাথর ব্যবহার করে নিয়ম বহির্ভূত ভাবে নদী বাঁধ নির্মাণের বিষয়ে অভিযোগ উঠলো বানারহাটের নেপালি বস্তি এলাকায়। সেচ দফতরের বিরুদ্ধে উদাসীনতার অভিযোগ এলাকাবাসী ও বিরোধীদের।
বিরোধীদের অভিযোগ, শাসকের দলের নেতা ও সেচ দফতরের মদতেই মোটা অঙ্কের টাকা এভাবে নয়ছয় হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, এই নেপালি বস্তি এলাকায় গত কয়েক বছরের বর্ষায় আংরাভাসা নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যায় বিঘার পর বিঘা চাষের জমি, চা বাগান। ভিটে মাটি হারিয়েছে অনেকেই। সব হারিয়ে গোয়াল ঘরে পর্যন্ত আশ্রয় নিতে হয়েছে।
এরপরেই নদী বাঁধের দাবি তোলা হয়। সেই করুণ ছবি সংবাদমাধ্যম তুলে ধরেছিল। তারপরই নরে চড়ে বসে সেচ দফতরের আধিকারিকরা। কোটি টাকা ব্যয় সেখানে নদী বাঁধ নির্মাণ করার উদ্যোগ নেওয়া হয়। আর সেই নদী বাঁধ নির্মাণেই এবারে দুর্নীতির অভিযোগ করা হয়েছে।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, নিম্নমানের বাঁধের কাজ হচ্ছে। ছোট সাইজের পাথর ব্যবহার করা হচ্ছে। বর্ষায় নদীর জলস্রোতে এই বাঁধ ভেসে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন তারা।
সকলেই চাইছেন ছোট সাইজের পাথর বাতিল করে বড় সাইজের পাথর দিয়ে সঠিক ভাবে বাঁধ নির্মাণ করা হোক।
বিরোধীদের দাবি, তৃণমূল কংগ্রেস ও প্রশাসন মিলিতভাবে সেখান থেকে চুরি করছে, কাটমানি নিচ্ছে, ঠিকাদারি করছে তাই ছোট সাইজের পাথর ব্যবহার করা হচ্ছে।
তৃণমূলের দাবি, কাজ খতিয়ে দেখার দায়িত্ব প্রশাসনের প্রশাসনকে জানাবেন সঠিকভাবে কাজ হচ্ছে কিনা দেখবার জন্য। যদি কাজ খারাপ হয় তার দায়িত্ব ইঞ্জিনিয়ারদের।
যদিও এই বিষয়ে বিস্তারিত জানতে বানারহাটের সেচ দফতরের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে ফোনে পাওয়া যায়নি কাউকে।