সন্দেশখালিকাণ্ডে কেন সিবিআই তদন্ত? কলকাতা হাইকোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে যখন সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ রাজ্য সরকার, তখন মুখ্যমন্ত্রীর পদত্য়াগের দাবি তুললেন শুভেন্দু অধিকারী। বিরোধী দলনেতার মতে, ‘শাহাজাহানের মতো সন্ত্রাসবাদীদের আশ্রয় দেওয়ার মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়ের আর মুখ্যমন্ত্রী থাকার নৈতিক অধিকার নেই’।
৩ মাস পর। রেশন দুর্নীতিকাণ্ডে এই সন্দেশখালিতেই তৃণমূল নেতা শেখ শাহাজাহানের বাড়িতে তল্লাশি চালাতে গিয়েছিলেন ইডি আধিকারিকরা। কিন্তু বাড়ি তখন তালাবন্ধ ছিল। অনেকক্ষণ ডাকাডাকির পরেও কারও সাড়াশব্দ পাওয়া যায়নি। এরপর তালা ভাঙা চেষ্টা করেন ইডি-র আধিকারিকরা, তখন আচমকাই শুরু হয় বিক্ষোভ। ইডি আধিকারিকদের লক্ষ্য করে ইটবৃষ্টি করেন বিক্ষোভকারীরা। কবে? এবছরের ৫ জানুয়ারি। হাইকোর্টের নির্দেশে এখন সন্দেশখালিকাণ্ডের তদন্ত করছে সিবিআই। সঙ্গে ইডিও।
এদিকে লোকসভা ভোটের মাঝেই অস্ত্র-ভান্ডারের হদিশ মিলেছে। আজ, শুক্রবার গোপন সূত্রে খবর পেয়ে আগারহাটি মল্লিকপাড়া এলাকার বাসিন্দা আবু তালেবের বাড়িতে তল্লাশি চালায় সিবিআই। সম্পর্কে এই সম্পর্কে স্থানীয় তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্যের আত্মীয় তিনি। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার সূত্রে খবর, তাঁর বাড়িতে মাটি খুঁড়ে পাওয়া দিয়েছে, বিদেশি আগ্নেয়াস্ত্র, গুলি, এমনকী বোমাও!
শেখ শাহাজাহান এখন ইডির হেফাজতে। হামলার ঘটনা ইডি আধিকারিকদের কাছে ক্ষমা চেয়েছেন তিনি। তবে হামলার ঘটনা সম্পর্কে তিনি কিছুই জানতেন না, জেরায় তদন্তকারী অফিসারের কাছে তেমনই দাবি করেছেন শেখ শাহজাহান।