জরুরি ভিত্তিতে প্রয়োজন, ৬০০ টাকা চাইছেন এমএস ধোনি (MS Dhoni)! ফিরিয়ে দেবেন পরে… শিরোনাম পড়ে নিশ্চয়ই চমকে গিয়েছেন। চমকে যাওয়ারই কথা। তাহলে ভাবুন যাঁদের কাছে এই মর্মে মেসেজ আসছে, তাঁদের অবস্থাটা ঠিক কী হচ্ছে। সচিন তেন্ডুলকরের (Sachin Tendulkar) পর ভারতীয় ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় সুপারস্টারের এমন কী হল যে, তিনি জনে জনে মেসেজ করে টাকা চাইছেন! তাও আবার মাত্র ৬০০ টাকা।
এবার খোলসা করে বলা যাক, অনলাইনের বাড়বাড়ন্তর যুগে ‘স্ক্য়াম’ ও ‘ফ্রড’-এর মতো শব্দগুলি যেন জাঁকিয়ে বসেছে। আর বিখ্যাত মানুষদের নাম এবং ছবি ব্যবহার করে লোক ঠকানোর কাজটা যে কিছুটা হলেও সহজ হয়ে যায়, তা অসাধু ব্য়ক্তিরা খুব ভালোভাবেই জানেন। কারণ এই দেশে অভিনেতা এবং ক্রিকেট নিছকই কোনও পেশা নয়! এই কাজের সঙ্গে যুক্ত মহাতারকারা পূজিত হন, মানুষের কাছে তাঁরা আবেগের সমার্থক। সেখানে ধোনি। যার জন্য় মানুষ একেবারে পাগল।
সম্প্রতি একটি স্ক্য়ামার মেসেজ ইনস্টাগ্রামের প্রোফাইল ধরে ধরে ইনবক্স করা হচ্ছে। দাবি করা হচ্ছে যে, ধোনি রাঁচিতে আটকে পড়েছেন। তিনি ওয়ালেট না আনায় ফেঁসে গিয়েছেন। ফলে ঘরে ফেরার জন্য় তাঁর দরকার ৬০০টি টাকা। তিনি ব্য়ক্তিগত অ্যাকাউন্ট থেকে মেসেজ করছেন। ফোনপে-তে পাঠাতে হবে টাকা! স্ক্য়ামার প্রমাণ হিসেবে ধোনির একটি বহু পুরনো সেলফির সঙ্গে চেন্নাই সুপার কিংসের স্লোগান ‘হুইসেল পোডু’ জুড়ে দিয়েছেন। এই ভুয়ো মেসেজকাণ্ডে ভুলেও পা দেবেন না আপনি। দয়া করে সতর্ক হয়ে যান। এরকম মেসেজ পেলেও স্রেফ এড়িয়ে যাবেন। এই কথা বলে দেওয়ার অপেক্ষা রাখে না যে, ধোনির টাকার জন্য় কারোর কাছে হাত পাতার প্রয়োজন পড়বে না। তিনি নিজের গুণেই আজ বিপুল ধনরাশির মালিক হয়েছেন।
ধোনি তাঁর ক্রিকেট কেরিয়ারে অধিকাংশ সময়ই ছিলেন বোর্ডের এ প্লাস ক্যাটাগরির ক্রিকেটার। ধোনি ২০২০ সালের স্বাধীনতা দিবসে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে বুট জোড়া তুলে রাখলেও, খেলা চালিয়ে যাচ্ছেন আইপিএলে। আইপিএলের বেতন ছাড়াও একাধিক ব্র্যান্ড এনডোর্সমেন্ট করেন তিনি। রয়েছে নিজস্ব প্রোডাকশন হাউস, হোটেল ব্যবসা ও বেঙ্গালুরুতে স্কুল। আইপিএলে প্রতি ম্য়াচ খেলার জন্য ক্য়াপ্টেনের পকেটে ঢোকে ৮৫.৭১ লক্ষ টাকা। ঝাড়খণ্ড সরকারকে, যে মানুষটা চলতি অর্থবর্ষে শুধু অ্যাডভান্স ট্যাক্সই দিয়েছেন ৩৮ কোটি টাকা, তাহলে তার মোট সম্পত্তি কত হতে পারে!
ধোনি বছরে ১৩০ কোটি টাকার ওপরেই উপার্জন করেন। ব্র্যান্ড প্রমোশনের অন্যতম বিশ্বস্ত মুখ ধোনি। Dream11, GoDaddy, Mastercard, Yippee Noodles, Gulf Engine Oil এর বিজ্ঞাপন করার জন্য তিনি পেয়ে থাকেন প্রায় ৫০ কোটি টাকা। প্রতিটি ব্র্যান্ড এনডোর্সমেন্টের জন্য তিনি নিয়ে থাকেন চার থেকে ছয় কোটি টাকা। ধোনির একটি ফার্মহাউস রয়েছে রাঁচিতে। সাত একর বিস্তৃত সেই রাজপ্রাসাদের মূল্য প্রায় ৬ কোটি টাকার কাছাকাছি। এছাড়াও ধোনির কাছে বিশ্বের তাবড় ব্র্যান্ডের গাড়ি ও বাইক রয়েছে। যার মূল্যও কোটি কোটি টাকা। ধোনির মোট সম্পত্তির পরিমাণ প্রায় ১০৪০ কোটি টাকা বলেই জানাচ্ছে স্টক গ্রো।