এসএসসি (স্কুল সার্ভিস কমিশন) নিয়োগ মামলায় কলকাতা হাই কোর্ট রায় ঘোষণা করার পর থেকেই প্রশ্ন তৈরি হয়েছিল, যাঁরা চাকরি হারালেন, শুক্রবার দ্বিতীয় দফার ভোটে কি তাঁদের দিয়েই কাজ করাবে নির্বাচন কমিশন? সোমবার রায় ঘোষণার দিন কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছিল, প্রতিটি বুথের জন্যই যে হেতু রিজ়ার্ভ ভোটকর্মী থাকেন, তাই লোকবল নিয়ে সমস্যা হওয়ার কথা নয়। তবে বুধবার কমিশন সূত্রে খবর মিলল, বিশেষ কোনও পরিবর্তন না ঘটলে দ্বিতীয় দফার ভোটে চাকরিহারাদেরও কাজ করতে হবে।
গত সোমবার ২০১৬ সালে এসএসসিতে চাকরি পাওয়া ২৫ হাজার ৭৫৩ জনের নিয়োগ বাতিল করে দিয়েছে উচ্চ আদালত। তাঁদের অনেকেই এখন ভোটের ডিউটিতে রয়েছেন। কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে, ভোটের নিযুক্ত শিক্ষকদের মধ্যে কাদের চাকরি গিয়েছে, তা তো এখনও কমিশন জানেই না। চাকরিচ্যুতদের চিহ্নিতই করা যায়নি। সেই তালিকা এসএসসি এবং মধ্যশিক্ষা পর্ষদের কাছে থাকার কথা। তাদের কাছ থেকে নির্বাচন কমিশনের কাছে সে রকম কোনও তালিকা এসে পৌঁছয়নি। এসএসসি ও পর্ষদ ইতিমধ্যেই সুপ্রিম কোর্টে মামলা করেছে। সেখানেও এখনও কোনও কিছুর মীমাংসা হয়নি। এ দিকে শুক্রবার ভোট। অর্থাৎ, বৃহস্পতিবার বিকেলের মধ্যে ভোটকর্মীদের ভোটকেন্দ্রে পৌঁছে যেতে হবে। ভোটের কয়েক ঘণ্টা আগে এই পরিস্থিতিতে বিশেষ কিছু বদলের কোনও সম্ভাবনা নেই। অতএব, চাকরিহারা শিক্ষকদেরও ভোটের কাজ করতে হবে শুক্রবার। তবে যদি এসএসসি বা পর্ষদ থেকে চাকরিহারাদের তালিকা পাঠানো হয়, সে ক্ষেত্রে অন্য সিদ্ধান্তও হতে পারে বলে জানিয়েছে কমিশন সূত্র।
দ্বিতীয় দফায় দার্জিলিং, বালুরঘাট ও রায়গঞ্জে ভোট। শেষ মুহূর্তের ভোট-প্রস্তুতি তুঙ্গে এখন। কমিশন জানিয়েছে, দ্বিতীয় দফায় বঙ্গে মোট পাঁচ হাজার ২৯৮টি বুথে ভোটগ্রহণ হবে। সব মিলিয়ে মোতায়েন করা হবে ২৭২ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী। সেই সঙ্গে থাকবে ১২ হাজার ৯৮৩ জন রাজ্য পুলিশ। দার্জিলিঙে ৭৩৯টি স্পর্শকাতর বুথ রয়েছে। সেখানে ৮৮ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হবে। রায়গঞ্জ রয়েছে ২১০টি স্পর্শকাতর বুথ। ১১১ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হবে। বালুরঘাটে স্পর্শকাতর বুথের সংখ্যা ১৯২টি। কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হবে ৭৩ কোম্পানি।
এ বার রায়গঞ্জে প্রার্থীর সংখ্যা ২০। সে কারণে ইভিএমে দু’টি করে ব্যালট ইউনিট থাকবে।