তাপপ্রবাহ চলছে। শনিবার দেশের মধ্যে সবচেয়ে বেশি গরম ছিল ঝাড়খণ্ডে। ডালটনগঞ্জে তাপমাত্রা পৌঁছে গিয়েছিল ৪৩.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। এই পরিস্থিতিতেও কিন্তু ছোটদের স্কুলে গরমের ছুটি দিচ্ছে না ঝাড়খণ্ড সরকার। বরং ছুটির বিকল্প হিসাবে বদলে দেওয়া হয়েছে স্কুলের সময়। সরকার জানিয়েছে, সোমবার থেকে সব স্কুলে সকাল ৭টা থেকে ক্লাস শুরু হবে। পরবর্তী সরকারি নির্দেশিকা না পাওয়া পর্যন্ত এই ভাবেই চলবে স্কুল।
শনিবার ঝাড়খণ্ডের শিক্ষা দফতর যে নির্দেশিকা দিয়েছে, তাতে বলা হয়েছে,২২ এপ্রিল থেকে রাজ্যের সমস্ত স্কুলে ছোটদের ক্লাস হবে সকাল ৭টা থেকে সাড়ে ১১টা পর্যন্ত। এই সময়ে ক্লাস চলবে নার্সারি থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত ছাত্রছাত্রীদের। এ ছাড়া, নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত ছাত্রছাত্রীদের ক্লাস চলবে সকাল ৭টা থেকে বেলা ১২টা পর্যন্ত। সরকারের এই নির্দেশিকা ঝাড়খণ্ডের সব সরকারি, সরকার পোষিত, অসরকারি এবং বেসরকারি স্কুলের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে বলে জানিয়েছে শিক্ষা দফতর।
ঝাড়খণ্ডের ওই নির্দেশিকায় আরও জানানো হয়েছে, স্কুল চলাকালীন রোদের মধ্যে কোথাও প্রার্থনা বা খেলাধূলার আয়োজন করা যাবে না। খোলা আকাশের নীচে ছাত্রছাত্রীদের দাঁড় করানো যাবে না। স্কুল থেকে মিড ডে মিল আগের মতোই পাবে সকলে। সরকার জানিয়েছে, এই সময়ের মধ্যে শিক্ষা সংক্রান্ত কোনও ক্ষতি হলে তা কী ভাবে পূরণ করা যায়, সে বিষয়ে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেবেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
২০ এপ্রিল থেকে ২২ এপ্রিল পর্যন্ত ঝাড়খণ্ডের ১৫টি জেলায় তীব্র তাপপ্রবাহের সতর্কতা জারি করেছে মৌসব ভবন। তাপমাত্রা সর্বত্রই থাকবে ৪০ ডিগ্রির উপরে। শনিবার ডালটনগঞ্জে সবচেয়ে বেশি তাপমাত্রা ছিল। বাকি জেলাগুলিতেও ৪২ থেকে ৪৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যেই ছিল তাপমাত্রা।
পশ্চিমবঙ্গেও গত কয়েক দিন ধরে তাপপ্রবাহ চলছে। শনিবার বাঁকুড়ায় দেশের মধ্যে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল, ডালটনগঞ্জের পরেই। সেখানে পারদ ছুঁয়েছিল ৪৪.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাংলার আটটি জেলায় অতি তীব্র তাপপ্রবাহের লাল সতর্কতা জারি করেছে হাওয়া অফিস। এই পরিস্থিতিতে বাংলার স্কুলগুলিতে গরমের ছুটি এগিয়ে আনা হয়েছে। রাজ্যের শিক্ষা দফতর জানিয়ে দিয়েছে, সোমবার থেকে স্কুলগুলিতে গরমের ছুটি শুরু হয়ে যাবে। কবে স্কুল খুলবে, তা পরবর্তী নির্দেশিকায় জানানো হবে।