প্রথম দফার ভোট চলাকালীনই বালুরঘাটে বড়সড় ভাঙনের মুখে তৃণমূল কংগ্রেস। আর সাত দিন পরে দ্বিতীয় দফার ভোট বালুরঘাটে। ২৬ এপ্রিল সেখানে ভোট, তার আগে বালুরঘাট পুরসভার ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল ওয়ার্ড সভাপতি সহ ৪০ জন তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান করেছেন বলে দাবি পদ্ম শিবিরের।
১৪ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল সভাপতি রঞ্জিত সরকার, ওয়ার্ডের যুব সভাপতি বিশ্বজিৎ দাস, মহিলা তৃণমূল সভাপতি টুম্পা সরকার, তৃণমূলের বুথ সভাপতি রবিন সূত্রধর সহ অনেকেই তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান করেছেন। ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের পাশাপাশি চার নম্বর ওয়ার্ডেরও বেশ কিছু তৃণমূল কর্মী বিজেপিতে যোগদান করেন। দুটি ওয়ার্ড মিলিয়ে প্রায় ৪০ জন বিজেপিতে যোগদান করেছেন।
বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা বালুরঘাটের বিজেপি প্রার্থী সুকান্ত মজুমদার বলেন, “১৪নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূলের ওয়ার্ড প্রেসিডেন্ট, রঞ্জিত সরকারের নেতৃত্বে ওয়ার্ডের মহিলা প্রেসিডেন্ট টুম্পা সরকার, বুথ সভাপতি থেকে শুরু করে একাধিক বুথে তৃণমূল মহিলা নেত্রীরা বিজেপিতে এসেছেন। আরো অনেকে চার নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দারা বিজেপির পতাকা তুলে নিয়েছেন নরেন্দ্র মোদীর কাজ দেখে।”
অন্যদিকে এই ঘটনায় তৃণমূল প্রার্থী বিপ্লব মিত্র বলেন, যারা বিজেপিতে গেছেন তাদের সঙ্গে তৃণমূলের বেশ কিছুদিন আগে থেকেই দূরত্ব তৈরি হয়েছে। তাঁর কথায়, ২০২১ সালের পর থেকে এরা দুই নৌকায় পা দিয়ে চলছিল। কখনো আমাদের মিটিং মিছিলে ছিল, কখনো ওদের নেতাদের সঙ্গে গোপনে আলাপচারিতা করেছে।
এদিকে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান করা রঞ্জিত সরকার বলেন, ২০০৭ থেকে ২৪ পর্যন্ত তৃণমূলে ছিলাম। নানা পদে থেকেছি, কিন্তু বিজেপি এখানে যা কাজ করেছে তা দেখেই দল পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নিয়েছি।সুকান্ত মজুমদার বালুরঘাটকে বিভিন্ন পরিষেবা দিয়েছেন। অমৃত ভারত স্টেশন দিয়েছেন। তাই আমরাও বিজেপিতে এলাম। আরো অনেকে আসতে চান কিন্তু নানা কারণে আসতে পারছে না। আমাদের টার্গেট সুকান্ত মজুমদারকে এক লক্ষ ভোটের ব্যবধানে জেতানো।