পঞ্চসায়রে চলন্ত গাড়িতে মানসিক ভারসাম্যহীন মহিলাকে গণধর্ষণ

একটা রাজ্য ছিল।রাজ্যে রাজা ছিলনা। মন্ত্রী ছিল আর তার সভাসদ। রাজ্য টা ছিল গণতান্ত্রিক। প্রজারাই মন্ত্রী আর সভাসদ নির্বাচন করত। কিন্তু গত চল্লিশ বছর ধরে তারা মন্ত্রী নির্বাচন ভুল করেছে।

রাজ্যে হাতিশালে হাতি, ঘোড়াশালে ঘোড়া। পুকুরভরা মাছ, বাগানে নানা জাতের ফল, ফুল। ক্ষেত ভরা ধান। ।কিন্তু তারপরও প্রজাদের মনে সুখ নাই। রাজ্যে রাক্ষস এসেছে। গত বেশ কয়েক বছর ধরেই রাক্ষস আসছিল। এখন আসার পরিমান বৃদ্ধি পেয়েচে।

রাতের বেলা যখর সবাই ঘুমিয়ে থাকে রাক্ষসরা এসে প্রজাদের জমির ধান, পুকুরের মাছ, লাঙলের গরু সব খেয়ে ফেলছে। দেবমন্দির ধ্বংস করছে। রাক্ষস দের গোষ্ঠীর যারা প্রধান তাদের কেবল পছন্দ নারী মাংস। এখন তাই নারীরাও রাজ্যে সুরক্ষিত নয়। রোজ কোনো না কোন নারী গায়েব হচ্ছে। পরের দিন তার খোবলনো ক্ষত দেহ খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে। আট থেকে আশি কেউ বাদ যায় না।

আগে বাবা মা রা শেখাত সমাজে রাক্ষস বলে কিছু নেই। সবই জীব। সেই শিক্ষাতে অনেক ছেলে মেয়ে রাক্ষসদের সুযোগ দিয়েচে। অনেক রাক্ষস এখন মানুষের মত মিষ্টি কথা বলতে শিখেছে। মিষ্টি কথায় মানুষ ভুলিয়ে নিজেদের ডেরায় নিয়ে যায়।অনেক মেয়ে জোর করে রাক্ষসের ফাঁদে পা দিয়েছে। তারপর তাদের খোঁজ পাওয়া যায় নি।

এখন বাবা মা র চোখের সামনে দিয়ে মেয়েদের খেয়ে যায়। চিৎকার করলে বাবা মা কেও খায়।

সেই রাজ্যে দুই থেকে শুরু করে আশি , এমনকি বোবা কালা অসুস্থ মেয়েদের ও রক্ষা নেই। সেই রাজ্যের রাজধানীতে আবার দেখা দিল ধর্ষণে বিভীষিকা। ধর্ষিতা পঞ্চসায়রের এক অসুস্থ তরুণী। ধর্ষক হল ফিরোজ আর তার বন্ধু।

পঞ্চসায়রের হোমে থাকা এক তরুণীকে গণধর্ষণ করে সোনারপুরের কাছে ফেলে দেওয়ার অভিযোগ। ঘটনার কয়েক ঘন্টা পর কার্যত ক্ষতবিক্ষত অবস্থাতেই ট্রেনে করে বাড়ি ফিরে আসেন তিনি। এরপরেই পরিবারের কাছে সব কিছু খুলে বলেন নির্যাতিতা। ইতিমধ্যে পুলিশের কাছে এই বিষয়ে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনার তদন্তে নেমেছে পুলিশ।
এই বিষয়ে নির্যাতিতার দিদি জানিয়েছেন, আক্রান্ত তরুণী একটি হোমে থাকতেন। রাত তিনটে নাগাদ হোমের দরজার তালা ভেঙে রাস্তায় বেরোন ওই তরুণী। কিছুটা এগিয়ে যেতেই একটি সাদা গাড়িতে থাকা দুই যুবক তাঁকে জোর করে গাড়িতে তুলে নেয় বলে অভিযোগ তাঁর। শুধু তাই নয়, ওই গাড়িতেই তরুণীর উপর অকথ্য অত্যাচার চালানো হয় বলেও অভিযোগ।

পরিবারের দাবি, পঞ্চসায়র থেকে অদূরেই একটি মাঠে নিয়ে গিয়ে তাঁকে গণধর্ষণ করা হয়েছে। এখানেই না থেমে আবারও জোর করে গাড়িতে তোলা হয় তাঁকে। চলতে থাকে অকথ্য অত্যাচারও। একাধিকবার শারীরিক নির্যাতনের ফলে একসময়ে অচৈতন্য হয়ে পড়েন ওই তরুণী। এরপর গাড়ি করে নিয়ে গিয়ে সোনারপুরের একটি পরিত্যক্ত মাঠে নিয়ে গিয়ে তাঁকে ফেলে পালিয়ে যায় অভিযুক্তরা, এমনটাই অভিযোগ।।।

জ্ঞান ফিরলে ওই অবস্থাতেই সোনারপুর স্টেশনে এসে পৌঁছন আক্রান্ত মহিলা। সেখান থেকে ট্রেনে চেপে কোনও রকমে বালিগঞ্জ পৌঁছে নিজের বাড়িতে আসেন ওই মহিলা। এরপরেই পুলিশের কাছে অভিযোগ জানায় নির্যাতিতার পরিবার।

পুলিশের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, এই ঘটনার বিষয়ে তদন্ত চলছে। পঞ্চসায়র এবং সোনারপুর এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। সারা শহরজুড়েই তল্লাশি চালানো হচ্ছে। অভিযুক্তরা শীঘ্রই ধরা পড়বে। কিন্তু আমাদের নিরাপত্তা কে দেবে এই রাক্ষসদের হাত থেকে?

পঞ্চসায়র গণধর্ষণকাণ্ডে নির্যাতিতার সঙ্গে দেখা করলেন জাতীয় মহিলা কমিশনের সদস্যরা

Specially abled woman gangraped in Kolkata

A differently abled woman was gang raped in Panchasayar (Garia) in Kolkata. Being, differently abled the woman stayed in an asylum and on that fateful night she walked out in the streets by breaching the locks of the main gate. Soon she was picked up in a white car and raped multiple times. Bleeding profusely, she was later abandoned near Sonarpur Railway Station.

Later, the victim revealed she was assaulted and raped multiple times by Feroz and his companion before being abandoned.

Police has started an investigation based on the CCTv footage, but no arrests has been made.

Meanwhile, the traumatized mother of the woman also passed away on hearing that her daughter was not traceable on the fateful night.

Members of the NCW, headed by Chandramukhi Debi, also inspected the asylum and criticized the poor living conditions, lack of security. She was surprised how the unauthorised asylum was running right under the noses of the police for 22 years. She too said, the gang-rape should not be taken as a petty matter and a pre-planned move to rape the woman cannot be ruled out, and added that based on the CCTv footage, police must act immediately and book the culprits.

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.