দিল্লির বায়ুদূষণ নিয়ে শুধু দেশ নয়, গোটা পৃথিবী জুড়ে হইচই শুরু হয়ে গিয়েছে। কিন্তু দেখা যাচ্ছে, দূষণে পিছিয়ে নেই কলকাতাও।
স্কাইমেট নামে একটি বেসরকারি আবহাওয়া বিশেষজ্ঞ সংস্থা গোটা পৃথিবীর বায়ুদূষণের মাত্রা নিয়ে একটি সমীক্ষা করেছে। তাদের সেই সমীক্ষায় দেখা যাচ্ছে, ভারতের রাজধানী শহর দিল্লিতে বায়ুদূষণ সব থেকে বেশি। পাঁচ নম্বরে রয়েছে কলকাতা। আর মুম্বই রয়েছে ন’নম্বরে।
দিল্লির এয়ার কোয়ালিটি ইন্ডেক্স হল (একিউআই) ৫২৭। কলকাতার একিউআই হল ১৬১। আর মুম্বইয়ে ১৫৩। স্কাইমেটের এই সমীক্ষার আগে সম্প্রতি আইকিউ এয়ার ভিজুয়ালও দিল্লি নিয়ে মারাত্মক রিপোর্ট দিয়েছিল। তাতেও বলা হয়েছে, দিল্লিতে বায়ুদূষণের মাত্রা গোটা পৃথিবীর সব শহরের মধ্যে সব থেকে বেশি। বস্তুত সেই কারণেই পরিবেশ দূষণ নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ দু’দিন সব স্কুল বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছিল। যেসব শিল্পসংস্থা নিরাপদ জ্বালানিতে তথা ক্লিন ফুয়েলে চলে না তাদেরও কাজ বন্ধ রাখতে বলা হয়েছিল।
স্কাইমেট জানাচ্ছে, দিল্লিতে গত ৯ দিন ধরেই ভয়াবহ পরিস্থিতি চলছে। বায়ুদূষণের মাত্রা এতটাই যে তা মানুষের শরীরের উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। তা ছাড়া এমন নয় যে গোটা দিল্লিতেই বায়ুদূষণের মাত্রা ৫২৭ একিউআই। দেখা গিয়েছে, দিল্লির উপকণ্ঠে বিভিন্ন অঞ্চলে কোথাও তা ছ’শো বা সাতশোরও বেশি। যেমন ন্যাশনাল ক্যাপিটাল রিজিওন তথা রাজধানী এলাকার অন্তর্গত ফরিদাবাদে একিউআই হল ৭২৮।
সেই তুলনায় কলকাতায় বায়ুদূষণের মাত্রা কম হলেও, কম বিপজ্জনক নয়। দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের এক বিশেষজ্ঞের কথায়, কলকাতা বায়ুদূষণের নিরিখে গোটা পৃথিবীর মধ্যে পঞ্চম স্থানে রয়েছে। এটুকু শুনেই সাধারণের বোঝা উচিত বিপদ ঘণ্টা বাজছে এখানেও। তাই জ্বালানির ব্যবহার ইত্যাদি নিয়ে সকলকে এখনই সতর্ক হতে হবে। তাঁর কথায়, দিল্লির মতোই কলকাতাতেও দীপাবলির পর দূষণের মাত্রা বেড়ে গিয়েছিল। বিয়ের মরশুম আসছে। তখনও আতসবাজি পোড়াবেন হয়ত কেউ কেউ। সকলেরই উচিত এ ব্যাপারে সংযত থাকা। সেই সঙ্গে সরকারকেও ভাবতে হবে কীভাবে পাবলিক ট্রান্সপোর্ট ব্যবস্থাকে আরও উন্নত করা যায়। কীভাবে শহরে ইলেকট্রিক বাসের সংখ্যা বাড়ানো যায় বা সামগ্রিক ভাবে ইলেকট্রিক ভেহিকেলস ব্যবহারে উৎসাহ দেওয়া যায় মানুষকে।