ম্যাচ হেরেও খুব একটা দুঃখ পাননি শ্রেয়স আয়ার। উল্টে এই হার থেকে শিক্ষা নিয়ে সামনের দিকে এগোতে চাইছেন তিনি। শ্রেয়সের মতে, প্রতিযোগিতার শুরুতে এই হার তা-ও ভাল। পরের দিকে হারলে সমস্যা বেশি হত। রাজস্থানের কাছে হেরে জস বাটলারের প্রশংসা শোনা গিয়েছে শ্রেয়সের গলায়। রাজস্থানের ব্যাটারের সামনে কেকেআরের বোলারেরা কোথায় বল করবেন সেটাই বুঝতে পারছিলেন না।
ম্যাচ শেষে শ্রেয়স বলেন, “বাটলার খুব ভাল শট খেলছিল। সব ব্যাটের মাঝে লাগছিল। এ রকম কেউ মারতে থাকলে বোলারেরা কোথায় বল ফেলবে সেটাই বুঝতে পারে না। আমাদেরও সেটাই হয়েছে। শেষ ওভারে বরুণ চক্রবর্তীকে বল দিয়েছিলাম। ভেবেছিলাম বলের গতি কম হলে যদি কিছু হয়। কিন্তু বাটলার যা ফর্মে ছিল তাতে জিততে পারিনি।”
এই হার থেকে শিক্ষা নিয়ে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে চান কেকেআরের অধিনায়ক। তিনি বলেন, “আমরা ভাবিনি ম্যাচটা হেরে যাব। এই হার আমাদের কাছে শিক্ষা। আমাদের বুঝতে হবে কঠিন পরিস্থিতিতে ঠিক কোথায় বল করতে হবে। সেটা এই ম্যাচে করতে পারিনি। এই মাঠে বল করা সহজ নয়। ব্যাটারদের পক্ষে বড় শট খেলা সহজ। বাটলার সেটাই করে দেখিয়েছে।”
দল হারলেও সুনীল নারাইনের প্রশংসা শোনা গিয়েছে শ্রেয়সের মুখে। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে শতরান করেছেন নারাইন। দলের ক্রিকেটারকে নিয়ে তিনি বলেন, “নারাইন আমাদের দলের সম্পদ। যে সুযোগ পায় সেটা কাজে লাগায়। এই ম্যাচেও সেটা করে দেখিয়েছে। আমি খুশি যে ও আমাদের দলে খেলে।”
তিন দিনের মধ্যে দু’টি ম্যাচ খেলতে হয়েছে কেকেআরকে। এই গরমে ক্রিকেটারেরা ক্লান্ত হয়ে পড়েছেন বলে জানিয়েছেন শ্রেয়স। কলকাতার পরের ম্যাচ আগামী রবিবার। প্রতিপক্ষ রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু। সেই ম্যাচে জয়ের লক্ষ্যে নামবেন বলে জানিয়েছেন নাইট অধিনায়ক।